আবাসন মেলায় ৩৫১ কোটি টাকার বেশি ফ্ল্যাট, প্ল্যাট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংক কমিটমেন্টে এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিহ্যাব ফেয়ারের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলার শেষদিন রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এরমধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকার। আর প্লট ৮০ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বুকিং ও বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন ১৬ হাজার ১৩২ জন।
রিহ্যাব সহ-সভাপতি বলেন, আবাসন মেলার মূল উদ্দেশ্য আবাসন খাতকে ব্র্যান্ডিং করা, প্রকল্পকে উপস্থাপন করা। এখানে যেসব ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন তারা সবাই ফ্ল্যাট বা প্লট কেনার উদ্দেশ্যে এসেছেন। কেউ হয়তো এখন কিনেছেন, কেউবা পরে কিনবেন।
তিনি আরও বলেন, মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্যের মান তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে ক্রেতারা পণ্য দেখে পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বছর মেলায় অংশ নেওয়া অনেকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের পণ্য তুলে ধরেন। বিদেশ থেকেও বাংলাদেশি প্রবাসীরা তাদের ফ্ল্যাট-প্লট সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পেরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ, মেলা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব সহ-সভাপতি (অর্থ) প্রকৌশলী সোহেল রানা, রিহ্যাব প্রেস-মিডিয়া কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব পরিচালক মো. সুলতান মাহমুদ, রোটারিয়ান এস এম এমদাদ হোসেন, ড. এ এফ এম কামাল উদ্দিন।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় আবাসন মেলা। আজ দুপর ২টায় মেলা শেষ হচ্ছে। প্রতিদিন র্যাফেল ড্রতে এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্রিজ পুরস্কার দেওয়া হয়।