প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থায় অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে ইরানের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তবে দেশটির দক্ষিণ বন্দর নগরী বুশেহরে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার নেপথ্যের কোন কারণ তাত্ক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। রোববার এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, রোববার এক টিভি শো’তে রাষ্ট্রীয় ইলেকট্রিক কোম্পানি তাভানির এর কর্মকর্তা গোলাম আলি রাখশেনিমেহর জানিয়েছেন, গেল শনিবার থেকে জরুরি অবস্থা বিবেচনায় বুশেহর অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। এ অবস্থা আরও তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হতে পারে। এর ফলে ইরানে কিছুটা বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
রোববার এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রে মেরামতের কাজ চলছে। আগামী শুক্রবার নাগাদ এই কাজ চলতে পারে। তবে বিস্তারিত কিছুই বলা হয়নি বিবৃতিতে।
পারমাণবিক এনপিটি চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে রাশিয়া থেকে উৎপাদিত ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। জ্বালানী রডগুলো রাশিয়ায় আবার ফেরত পাঠাতে হয়। তবে ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ কিনতে বাধার মুখে পড়ছে ইরান।
গেল মার্চে ইরানের পরমাণু কর্মকর্তা মাহমুদ জাফরি বলেছিলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আনা যাচ্ছে না। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করা লাগতে পারে।
২০১১ সালে রাশিয়ার সহযোগিতায় বুশেহরে প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। চালু হওয়ার পর থেকে টানা এক দশকে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জরুরি বন্ধ ঘোষণার প্রয়োজন হয়নি।
ইরান নয় রাশিয়ায় উৎপাদিত ইউরেনিয়াম দিয়ে বুশেহের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালিত হয়। এটি পর্যবেক্ষণ করে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)।
এসএন