ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে তেহরানের জল্লাদ বলে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। একইসঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি আবারো কার্যকর করার আগে পরাশক্তি দেশগুলোকে এখনই নড়েচড়ে বসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গতকাল রোববার জেরুজালেমে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে একথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
রোববারের বৈঠকে বেনেট দাবি করেন, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অনেককে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও কেবল তেহরানের জল্লাদকে বেছে নিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী। বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার নিরাপরাধ ইরানিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় ইব্রাহিম রায়িসি ইরানি জনগণ ও পুরো বিশ্বের কাছেই কুখ্যাত।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি আবারো কার্যকর করতে রোববার থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অলোচনা পরোক্ষ শুরু করেছে ইরান ও পরাশক্তি দেশগুলো। এ বিষয়ে বেনেট বলেন, রায়িসি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি পরাশক্তি দেশগুলোকে ভেবে দেখতে হবে। ইরানের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার এটাই শেষ সময়।
এ সময় ইরানের ক্ষমতাসীনদের হত্যাকারী, গণহত্যাকারী বলে আখ্যায়িত করেন নতুন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম রায়িসি। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটিতে এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। ভোট পড়েছে মাত্র ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ইব্রাহিম রায়িসি পেয়েছেন মোট দুই কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪ ভোট।
১৯৮৮ সালে কয়েক হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডে ইরানের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির ভূমিকা থাকার পুরনো অভিযোগ রয়েছে। ওই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কখনই স্বীকার করে না দেশটি। এছাড়া ওই হত্যাকাণ্ডে নিজের ভূমিকার অভিযোগের বিষয়ে কখনো জনসম্মুখে মন্তব্য করেননি রায়িসিও।
ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের শুরুর বছরগুলোতে সশস্ত্র বিরোধীদের নির্মূলে সংক্ষিপ্ত সময়ের বিচারে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। দেশটির কিছু ধর্মীয় নেতা জানায়, বিচারকাজ সুষ্ঠু ছিল। ওই বিচারকাজের প্রশংসা করে তারা। ওই সময় দেশটির বিচার বিভাগের বিচারক ছিলেন রায়িসি।
এসএন
