উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প মেট্রোরেল। আগামীকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্বপ্নযাত্রার উদ্বোধন করবেন। মেট্রোরেল উদ্বোধনের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আকাশে থাকবে র্যাবের হেলিকপ্টার। বলেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে র্যাব ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে র্যাবের স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, ডগ স্কোয়াড, ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ মিনিটের এ যাত্রায় র্যাবের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা বহুতল ভবনে অবস্থান করবেন। পাশাপাশি আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টারের টহল প্রস্তুত থাকবে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেল উদ্বোধন শেষে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও ভ্রমণ করবেন তিনি। মেট্রোরেল উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি হয়েছে। আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলোয় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, সব বৈধ অস্ত্রধারীর অস্ত্র জমা নেয়াসহ সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে- উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি এলাকায় কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে ২৯ ডিসেম্বরের আগে নতুন ভাড়াটিয়া উঠতে পারবেন না। কোনো বাণিজ্যিক ভবনে ২৮ ডিসেম্বর নতুন কোনো অফিস, দোকান, রেস্তোরা খোলা যাবে না।
এ ছাড়া উদ্বোধনের দিন মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনো ভবনের বেলকনি ও ছাদে কাপড় শুকাতে দেয়া যাবে না এবং কেউ ছাদে দাঁড়াতে পারবেন না। ওইসব এলাকার ভবন বা ফ্ল্যাটে ওই দিন কোনো ছবি বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না। আর মেট্রোরেলের দুই পাশের সব ব্যাংক বা এটিএম বুথ ২৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।