আর্কাইভ থেকে অপরাধ

মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার হাতে প্রাণ গেল ছেলের

মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার হাতে প্রাণ গেল ছেলের

মাকে রক্ষায় নবম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ সুমন (১৪) বাবা আসাদুল খাঁনের হাতে নিহত হয়েছে। আমতলী থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এদিকে বাবা আসাদুল খাঁন নিহত ছেলে সুমনের মরদেহ আমতলী হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার তালতলী শহরের টিএনটি সড়কে ।

স্থানীয়রা জানায়, তালতলী উপজেলা শহরের টিএনটি সড়কের আসাদুল খাঁনের সাথে তার স্ত্রী সেলিনা বেগমের পারিবারিক বিষয় প্রায়ই বিরোধ হতো। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাবা ও মা ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। এ সময় ছেলে সুমন বাড়ীতে ছিল না। প্রাইভেট পড়তে তালতলী সরকারী মাধ্যমিক স্কুলে যায়। সুমন বাড়ীতে এসেই দেখে বাবা আসাদুল খাঁন মা সেলিনাকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে উদ্ধত হয়।

এ সময় ছেলে বাবাকে ফেরাতে মায়ের সামনে দাড়ায়। ওই মুহুর্তে ধারালো অস্ত্রের আঘাত স্ত্রী সেলিনা বেগমের শরীরে না লেগে ছেলে সুমনের কপালে লাগে। মুহুর্তের মধ্যেই ছেলে সুমন মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক বাবা আসাদুল খাঁন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই হাসাপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে বাবা আসাদুল ছেলে সুমনকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে ছেলেকে রেখেই বাবা আসাদুল খাঁন পালিয়ে যায়। পরে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম ছেলে সুমনকে মুত্যু ঘোষণা করেন।

বাবার হাতে ছেলের নিহতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত সুমনের সহপাঠিরা ঘাতক বাবার দৃষ্টান্তমুলক শান্তি দাবী করেছেন। নিহত সুমন তালতলী সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম বলেন, সুমনকে হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছে।

মা সেলিনা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন,  আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধর করতো। আমাকে রক্ষা করতে গিয়েই আমার ছেলে খুন হয়েছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।

তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘাতক বাবাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মাকে | বাঁচাতে | গিয়ে | বাবার | হাতে | প্রাণ | ছেলের