চীনের নতুন মহাকাশ স্টেশনের চারপাশে ভেসে বেড়ানো বক্স থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছে নভোচারীরা। বুধবার নতুন একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শুন্যে ভেসে ভেসে খাবার খাচ্ছে তিন নভোচারী নেই হাইশেং, লিউ বমিং এবং ট্যাং হংবো। একদিনের কাজের তালিকায় বিকেলের ঘুমও ছিল।
চীনের সরকারি টেলিভিশন সেন্ট্রাল চীনা টেলিভিশন এ প্রকাশিত ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, সকাল আটটায় স্থল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিন শুরু করে নভোচারীরা। পরে রাত ৯টা পর্যন্ত সেখানে সর্বশেষ আপডেট দেওয়ার আগে নানা কাজ করতেই থাকে তারা।
টিভিতে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে একদিন করে ছুটির দিন তিয়ানহে মডিউলে প্রথম ২৪ ঘণ্টার ভিডিও ধারণ করেছে নভোচারীরা। সেখানে তিন মাস থাকবে তারা।
বুধবার ফোনকলে নভোচারীদের সঙ্গে কথা বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কাজের জন্য নভোচারীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। জিনপিং বলেন, তিন মাস মহাকাশে কাটাবেন আপনারা। সেখানে আপনাদের কাজ ও জীবনযাপন চীনা জনগণের হৃদয়ে থাকবে।
শেনঝু-১২ মিশনে কমান্ডার নেই হাইশেং এবং তার দলের মূল লক্ষ্য হলো ২২.৫ টন তিয়ানহে মডিউলের কাজ শুরু করা। মহাকাশে এই উদ্বোধন এবং পরবর্তী মিশন চীনের ক্রমবর্ধমান আস্থা ও সামর্থ্যের আরও একটি অনন্য প্রদর্শন। এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে দীর্ঘতম ক্রুযুক্ত মহাকাশ মিশন এটি এবং প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম।
গেল ছয় মাসে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ থেকে পাথর ও মাটির নমুনা এনেছে চীন। ছয় চাকার একটি রোবট অবতরণ করিয়েছে মঙ্গল গ্রহে। দুটিই সবচেয়ে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং অভিযান ছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশ নিয়ে উচ্চাশা কখনো লুকায়নি চীন। মহাকাশ অভিযানে অনেক তহবিল দিয়েছে তারা। ২০১৯ সালে চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে ক্রু রোভার প্রেরণকারী প্রথম দেশ হয় চীন।
এসএন