দেশের পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে।এছাড়াও দেশের অনেক জায়গায় দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত কয়েক দিন ধরে হাঁড়কাপানো শীতে ছিলেন রাজধানীর বাসিন্দারা। তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও শীতের অনুভূতি ছিল ১০ ডিগ্রির মতো।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) তাপমাত্রা নেমে হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যাতে কাঁপছে ঢাকার বাসিন্দারা।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি, পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যশোরে ১০ ডিগ্রি ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ ডক্টর মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
গতকাল সন্ধায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।