আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

১১৭তম জন্মদিনের আগে ইউরোপের প্রবীণতম নারীর করোনা জয়

১১৭তম জন্মদিনের আগে  ইউরোপের প্রবীণতম নারীর করোনা জয়

বিশ্বের দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ১১৬ বছর বয়সী ফরাসি নান সিস্টার আন্দ্রে। নিজের ১১৭তম জন্মদিনের ঠিক আগে করোনাকে জয় করেছেন ইউরোপের সবচেয়ে প্রবীণ ওই নারী। ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মেছিলেন তিনি। সেই হিসাবে কাল বৃহস্পতিবার তার বয়স দাঁড়াবে ১১৭তে।

গেল মাসের মাঝামাঝি ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের তুলন শহরে করোনা টেস্টে পজিটিভ হন সিস্টার আন্দ্রে। আক্রান্ত হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেরে ওঠেন তিনি। তার শরীরে সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ছিল না। রোগ নিয়ে তার কোন ধরণের ভীতিও ছিল না। বরং হোমের অন্য বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি।

ফরাসি সম্প্রচার মাধ্যম বিএফএমকে দেওয়া বক্তব্যে সিস্টার আন্দ্রে বলেন, আমি ভয় পাইনি কারণ আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।

ফরাসি পত্রিকা ভার-মাতিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, আমি বুঝতেও পারিনি, এটি আমার ভেতরে ছিল।

দক্ষিণ ফ্রান্সের টোলনে অবসরযাপনের বাড়িতে অন্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলেন তিনি। এখন পুরোপুরি সুস্থ। তবে তার সঙ্গে একই বাসায় থাকা ৮৮ জনের মধ্যে ৮১ জনই করোনায় আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে মারা যায় ১০ জন।

সিস্টার আন্দ্রেকে ভাগ্যবান হিসেবে উল্লেখ করেছেন সেইন্ট ক্যাথেরিন ল্যাবরে রিটায়ারমেন্ট হোমের মুখপাত্র ডেভিড তাভেলা। তিনি বলেন, আমাকে তার স্বাস্থ্য বা অভ্যাস সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। শুধু জানতে চেয়েছিলেন খাবার এবং ঘুমের সময়সূচীর কোন পরিবর্তন হবে কিনা।

জেরোনটোলজি রিসার্চ গ্রুপ (জিআরজি) ওয়ার্ল্ড সুপারসেনটেনিয়ারিয়ান র‌্যাঙ্কিং লিস্ট অনুযায়ী, তিনি ইউরোপের প্রবীণতম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় প্রবীণতম জীবিত ব্যক্তি। তার আসল নাম লুসিল র‌্যান্ডন। এখন আর চোখে দেখেন না তিনি। চলাফেরায়ও করেন হুইলচেয়ারের সাহায্যে। তবু আগামীকাল নিজের জন্মদিন পালনের জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।

১৯৪৪ সালে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের পর আসল নাম বাদ দিয়ে সিস্টার আন্দ্রে গ্রহণ করেন লুসিল।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ১১৭তম | জন্মদিনের | আগে | | ইউরোপের | প্রবীণতম | নারীর | করোনা | জয়