ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। তবে নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা আগেই কর্মসূচি শুরু করে দলটি।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। গণঅবস্থানে অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।
১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। আজকের গণঅবস্থান তাদের দ্বিতীয় যুগপৎ কর্মসূচি।
এর অংশ হিসেবে ৬ সাংগঠনিক বিভাগে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণঅবস্থানে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। রাজধানীর পূর্ব-পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা বিভাগের গণঅবস্থানে নেতৃত্ব দেবেন এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ। এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণঅবস্থান করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সময়ে ১১টি দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এই জোটের নাম ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ পুরানা পল্টন প্রিতম টাওয়ারের সম্মুখে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
অন্য ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জোটের নেতারা।
এদিকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হয়েছে গণফোরাম (একাংশ)। মতিঝিল নটরডেম কলেজের উল্টো দিকের রাস্তায় গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সমমনা গণতান্ত্রিক জোট।
এছাড়া বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিতে ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’। রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশে আসে এই জোট।
রাজধানী নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে রয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাস।
সিলেটে রয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রাজশাহীতে আব্দুল মঈন খান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশালে সেলিমা রহমান, রংপুরে রয়েছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এছাড়াও কুমিল্লায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, খুলনায় থাকবে শামসুজ্জামান দুদু, ফরিদপুরে থাকবে অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান অবস্থান করছেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কর্মসূচি পালনে সমন্বয় করছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধিবাসী জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা, সাবেক এমপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব, জেলা/মহানগর বিএনপির সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব/প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক।