প্রচলিত কথায় আছে চিকিৎসক ও উকিলের থেকে কিছু লুকাতে নেই। তেমনি দাঁত তোলার আগেও মেনে চলা উচিত এই কথা। কারণ খুব সাধারণ মনে হলেও কিছু কিছু কথা দন্ত্যচিকিৎসককে না জানালে দাঁত তোলার পর বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শুধু দাঁত তোলাই নয়, দাঁতের যে কোনও অস্ত্রোপচারের আগেই যেসব কথা জানাতে হবে চিকিৎসককে।
ধূমপান কিংবা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে দাঁত তোলার আগে এবং পরে কিছু সময়ের জন্য হলেও তা বন্ধ রাখতে হয়। তাই আগে থেকে দন্ত্যচিকিৎসককে জানাতে হবে সে কথা । তা ছাড়া ধূমপান ও মদ্যপান কিছু ক্ষেত্রে দাঁতের সমস্যাও তৈরি করে, তাই এই বিষয়টি লুকিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
এছাড়া, ডায়াবিটিস থাকলেও অন্য অনেক ধরনের আনুষঙ্গিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষত শোকাতে দেরি হয় অনেক ক্ষেত্রে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়। তা ছাড়া রোজ কতটা পরিমাণ চিনি খান, তা-ও জানা দরকার চিকিৎসকদের। তাই দাঁত তোলার পর যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসককে আগে থেকে জানিয়ে রাখুন অসুস্থতার কথা।
এখন অনেকে মানুষই রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তাই দাঁত তোলার মতো তুলনামূলক ছোট শল্যচিকিৎসার আগে চিকিৎসককে সেটি জানানো উচিত রোগীর। অন্যথায় ঘটে যেতে পারে নানা সমস্যা। অনেক সময় রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রক্ত পাতলা রাখার কোন ওষুধ খেতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে দাঁত তোলার আগে এই ধরনের ওষুধ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়। তাই আগে থেকে না জেনে উচ্চ রক্তচাপ থাকা রোগীদের দাঁত তুললে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অবশেষে মানসিক চাপ, অনেকেই দাঁত তুলতে ভয় পান। দাঁতের ব্যথা সহ্য করাও কঠিন। কানাডায় করা একটি সমীক্ষায় এক বার দেখা গিয়েছিল প্রায় ৪৮ শতাংশ কানাডাবাসী দাঁত তুলতে ভয় পান। অনেক ক্ষেত্রে দাঁত তোলার সময় কিছু কিছু জায়গা অবশ করে নিতে হয়। যে ওষুধ দিয়ে এই কাজ করা হয়, সেই ওষুধ বিরল কিছু ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মানসিক অবসাদ থাকলেও চিকিৎসককে তা জানিয়ে রাখা ভাল।