পরবর্তী প্রজন্মের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ তৈরি করতে মার্কিন অ্যাভিয়েশন জায়ান্ট বোয়িংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। নতুন এই বিমান কম কার্বন নির্গত করবে। নাসার লক্ষ্য হলো- ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক বিমান তৈরি করা যা পরিবেশ, বাণিজ্যিক বিমান শিল্প এবং বিশ্বব্যাপী যাত্রীদের জন্য সুবিধাসহ আরও জ্বালানি সাশ্রয়ী হবে। বলেছেন নাসার প্রধান বিল নেলসন।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পরিধিতে অ্যারোনটিক্যাল গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আর তাই আগামী ৭ বছরে মার্কিন এই সংস্থা ‘সাসটেইনেবল ফ্লাইট ডেমোনেস্ট্রেটর (এসএফডি)’ প্রকল্পে ৪২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর এই একই সময়কালে বোয়িং ও তাদের অংশীদাররা আনুমানিক আরও ৭২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করবে।
গেলো বুধবার এক বিবৃতিতে নেলসন আরও বলেন, যদি আমরা সফল হই, তাহলে আমরা এই প্রযুক্তিগুলোকে উড়োজাহাজে দেখতে পাব যেগুলো ২০৩০ এর দশকে আকাশে যাত্রী পরিবহন করবে।
অন্যদিকে বোয়িং বলেছে, এসএফডি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে প্রদর্শিত এবং পরীক্ষিত প্রযুক্তিগুলো ভবিষ্যতের ডিজাইনগুলোতে যুক্ত হবে এবং সেটি যুগান্তকারী এরোডাইনামিক ও জ্বালানি সাশ্রয়ের মতো অর্জনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বোয়িংয়ের প্রধান প্রকৌশলী গ্রেগ হাইসলপ বলেছেন, টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বড় অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাসা বলছে, ইঞ্জিনিয়াররা এমন উড়োজাহাজের ডিজাইন করতে চাইবেন যেটা আজকের সবচেয়ে ভালো একক আইল বিমানের তুলনায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি খরচ এবং কার্বন নির্গমন কম করবে।
এছাড়া মার্কিন এই মহাকাশ সংস্থাটি ২০২০-এর দশকের শেষের দিকে এসএফডি পরীক্ষা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে যাতে প্রযুক্তি এবং নকশা পরবর্তী প্রজন্মের একক-আইল উড়োজাহাজে প্রয়োগ করা যেতে পারে।