আর্কাইভ থেকে বিএনপি

আদালত এবং গরিবের আচরণ একইরকম: গয়েশ্বর

আদালত এবং গরিবের আচরণ একইরকম: গয়েশ্বর
আদালতের আচরণ আর গরিবের আচরণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হয় আদালত সেটাই করে। বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (২১ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবি রিজভী ও ঢাকা জেলার বিএনপির সভাপতি খন্দকার আব্বাসসহ গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে অন্যায় ভাবে বন্দি বেগম খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অসংখ্য মামলায় আজকে বিচার পাচ্ছে না। অবিচারের মধ্য দিয়ে তারা নির্যাতিত হচ্ছে। আদালতের আচরণ আর গরিবের আচরণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার সকল আদালতকে আয়ত্ত করেছে, এমনভাবে আয়ত্ত করা হয়েছে অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হয় আদালত সেটাই করে। আদালত তার নিজস্ব বিচার, বিবেক, বুদ্ধি এবং আইনকে অনুসরণ করতে ভয় পায়। যারা ভয় পায় তাদের কাছে বিচার দিয়ে লাভ নেই, কারণ সঠিক বিচার করার ন্যূনতম ক্ষমতা তাদের নেই। তিনি বলেন, আজকে অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গিয়েছে। রাজকোষ খালি, বেতন দেয়ার টাকাও থাকবে না। এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পকেটমারা ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের আর কোনো কাজ নেই। এ পর্যন্ত ১৭টি ডেভলপমেন্ট প্রকল্প তাদের কাজ স্থগিত রেখেছে, অর্থ যোগান দেয়ার সুযোগ নেই। এই সরকার ব্যবস্থা এটা একটি লুটেরা, ফ্যাসিবাদী সরকার, জনগণের পকেটমার সরকার। জনগণ যখন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন করার জন্য রাস্তায় নামে তখন কোনো শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারবে না। পেছনে তাদের শক্তি যতই থাকুক কিন্তু সেই শক্তি তাদের টিকিয়ে রাখতে পারবে না। মানববন্ধনে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন— বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বেনজীর আহমেদ টিটু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আদালত | গরিবের | আচরণ | একইরকম | গয়েশ্বর