গত আগস্ট মাসে কুমিল্লা থেকে আট তরুণ হিজরতের নামে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে। তাদের খুঁজতে র্যাব ফোর্স নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সন্ধান পায়। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ওই সংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বললেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
খন্দকার আল মইন বলেন, কিছুদিন আগে বান্দরবানের পাহাড়ে এ জঙ্গি সংগঠন আস্তানা গড়ে তুলে প্রশিক্ষণ নেয়। পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় সামরিক শাখার প্রধান রণবীর ও তার সহযোগী বাশার। পরে তারা উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেন।
তিনি বলেন, তরুণদের জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করে সামরিক প্রশিক্ষণ দেন রণবীর। তাই র্যাবের প্রধান টার্গেট ছিলেন তিনি। রোহিঙ্গা তরুণদের প্রশিক্ষণ দিতে তিনি ক্যাম্পে আত্মগোপন ছিলেন কিনা অথবা কোনো রোহিঙ্গা তরুণ এ সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এরপর গত ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল থেকে সামরিক শাখার তৃতীয় ব্যক্তি মানিক ও শাওনকে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। র্যাব হিজরতের জন্য বের হওয়া নিখোঁজ ৫৫ জনের তালিকা থেকে পাঁচজনকে আটক করে। এরপর সামরিক শাখার শাওন ও মানিককে রিমান্ডে এনে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রণবীর ও বাশারের তথ্য পাওয়া যায়।
খন্দকার আল মইন বলেন, এর আগে গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩৮ জন সদস্য এবং এ সংগঠনকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ও আস্তানা গড়ে তুলতে সহযোগিতা করার অপরাধে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের ১৪ জনকে আটক করা হয়।
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি আস্তানা গড়তে সেখানে আত্মগোপনে ছিলেন ‘জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ সামরিকপ্রধান রণবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার।
এর আগে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, দেশিয় তৈরি দুটি অস্ত্র, ১১টি কার্তুজ ও আড়াই লাখ টাকাসহ কাদের আটক করা হয়। অভিযানে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে র্যা বের গোলাগুলি হয়। তবে গোলাগুলিতে কেউ হতাহত হয়নি।