মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। যা আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে মানুষের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সরকার ঘোষিত সাতদিনের কঠোর এই লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাল্টে গেছে রাজধানীর চিত্র। সড়কে নেই অন্যান্য দিনের মতো অফিসমুখী মানুষের চাপ, নেই যানবাহনের ছুটে চলা, বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।
রাজধানীর মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি-৩২, পান্থপথ ও কলাবাগান এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনীও। রাস্তার মোরে মোরে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট থানার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণ এবং যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
জরুরি প্রয়োজনে যারা সড়কে বেরিয়েছেন তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের।
সড়কে যেসব গাড়ি চলাচল করছে সেগুলোর অধিকাংশই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ও খাদ্য পণ্যবাহী ট্রাক, সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী যানবাহন ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত মোটরসাইকেল।
সড়কে কিছু রিক্সা চলাচল দেখা গেছে।তবে এসব রিক্সায় যাত্রী তেমন নেই বললেই চলে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন বেলা বাড়ার সঙ্গে পুলিশের তৎপরতা ও আরও বাড়বে।
সাত দিন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সম্মিলিত টহল চলবে। কেউ যেন অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হয় এবং ঘোরাফেরা না করে সেটি নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে।
সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে ভার্চুয়ালি সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইন-চার্জসহ সব ইউনিট প্রধানদের এ নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২১টি শর্ত যুক্ত করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ বিধিনিষেধ ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মুক্তা মাহমুদ