আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

আবারও ম্যাশের কাছেই ধরাশায়ী সাকিব!

আবারও ম্যাশের কাছেই ধরাশায়ী সাকিব!
সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ম্যাশের সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে। এর পর টানা ৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর আবার হারের মুখ দেখলো সিলেটের কাছেই। শীর্ষ দুই দলের খেলা জমে উঠেছিল বেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ১৭৩ রানের স্কোর গড়ে সিলেট। জবাবে খেলতে নেমে বরিশালের শেষ দুই বলে দরকার ছিল ১৩ রানের। একটি ছয় মেরে খেলা জমে উঠলেও পরের বলে ওভার বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হয় মোহাম্মদ ওয়াসিম। ফলে ২ রানে জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রাখলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।   শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল বরিশালের। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইব্রামিহ জর্ডান মিলে গড়েন ৪২ রানের জুটি। ১৯ বলে ৩১ করে সাইফ আউট হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরেই ৮ বলে ৩ রানের বিদঘুটে ইনিংস খেলে ফেরেন বিজয়। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও জর্ডান মিলে দল জয়ের দিকে যেতে থাকে। কিন্তু দলীয় ১০৭ এবং ১০৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান দুইজনই। এরপর দল চাপে পড়ে গেলে কিছুটা ঝড় তোলেন আফগানিস্তানের করিম জানাত। মাশরাফির তৃতীয় ওভারে মারেন টানা তিনটি ছক্কা। কিন্তু তার পরের ওভারেই শিকার হন পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ আমিরের হাতে। শেষ ওভারে এসে কিছুটা আশা দেখান মোহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ দুই বলে ১৩ রানের দরকার ছিল বরিশালের। প্রথম টি ছক্কা মারলে উত্তেজনা চলে আসে দুই দলেই। কিন্তু শেষ বলটি হয় চার। এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। প্রথম ওভারে ১০ রান আসলেও দ্বিতীয় ওভারেই তিন উইকেট হারায় দলটি। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে জাকির হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমকে হারায় সিলেট। আরও পড়ুনঃ গোল করা যেন অনেক সহজ! এরমধ্যে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছেন জাকির ও মুশফিক। এরপর দলের হাল কাঁধে তুলে নেন শান্ত ও টম মুর। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে গড়েন ৮১ রানের জুটি। ৩০ বলে ৪০ রান করেন মুর ফিরে গেলেও অবিচল থাকেন শান্ত। ৬৬ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলে থাকেন অপরাজিত। বরিশালের হয়ে ৩৪ রানে ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন ওয়াসিম। আরও পড়ুনঃ ব্রাজিলের কাছে পাত্তা পেল না মেসির উত্তরসূরিরা    

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আবারও | ম্যাশের | কাছেই | ধরাশায়ী | সাকিব