অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর বাঁধগুলো টেকসই হয় না, ধসে যায়। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বলেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষদিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এ কার্য-অধিবেশন হয়।
জাহিদ ফারুক বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে দেশের নদীর বাঁধগুলো টেকসই হয় না। যে কারণে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নদীমাতৃক দেশ হলেও বাংলাদেশে পানি নিয়ে অনেক সমস্যা আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে নদীর তীর ভাঙন, বন্যার প্রবণতা বেড়েছে। গেলো বছর গ্রামাঞ্চলে আগাম বন্যা হয়েছে। কিন্তু আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়ার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে সকলকেই সজাগ থাকতে হবে। নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে বাঁধগুলো টেকসই হয় না, ধসে যায়। এদিকে দৃষ্টি রাখতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জাহিদ ফারুক বলেন, তারাও যেন এ বিষয়টি মানুষের কাছে তুলে ধরেন। যাতে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সব জেলাতে বালুমহাল রাখা হয়। কারণ সকলের প্রয়োজনেই বালুটা উত্তোলন করতে হয়। দেশের উন্নয়ন কাজে বালু দরকার। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড যেখানে বালুমহাল ঘোষণা করবে, সেখান থেকেই কেবল বালু উত্তোলন করা যাবে। এতে একদিকে বালুর প্রয়োজন মিটবে। অন্যদিকে, নদীর তীর ভাঙনও রোধ করা যাবে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকজন ডিসি নিজ এলাকার নদী তীর ভাঙনের কষ্টের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে কিন্তু বৈশ্বিক মন্দার কারণে ধীর গতিতে হচ্ছে। কোনো এলাকা থেকে যখন সমস্যার কথা বলা হয়, তখন সমীক্ষা চালিয়ে সেই কাজ করে সরকার। এছাড়াও প্রকৌশলীদের বলা হয়েছে যেন তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলোর সমাধান করেন।