দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ের ১২টার দিকে দুদকে অভিযোগ পত্র জমা দেন তিনি।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ চিঠি দেয়া হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আব্দুস সুবহান গোলাপ ২০১৪-১৫ সালে যখন এমপি ছিলেন তখন তিনি কি পরিমাণ দেশ সেবা করেছেন যে, সেবা করতে করতে নিউইয়র্কে ৯টা প্রপার্টিজ করেছেন। যেগুলো তার নিজের নামে আছে এবং এখনো পর্যন্ত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেননি।
তিনি বলেন, আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, অন্য কোনো দেশে একাধিক বাড়ি কেনা ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। এ জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম দুদক এরকম একটি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বিষয়ে কোনো সরাসরি সুয়েমুটো গ্রহণ করে কি-না। যেহেতু এখন পর্যন্ত দুদক গ্রহণ করেননি, তাই আমি নিজে আজকে দুদক বরাবর অভিযোগ করে গেলাম (এটা আইনে আছে, যেকোনো ব্যক্তি দুদকের অভিযোগ করতে পারবেন)। দুদক যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় বা না নেয়, তবে আমি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সুমন বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি এবং ধারণকারী হিসেবে বলতে পারি- যে লোকটা অসৎ হবে, সে কখনো দেশপ্রেমিক হবে না। আর যে লোকটা দেশপ্রেমিক হবে না, সে দেশের জন্য বিশ্বস্ত না। আমার কাছে মনে হয়েছে, বিশ্বস্ত না হওয়ায় তিনি শেখ হাসিনার নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এগুলো যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে এরকম লোকের গণভবনে থাকা অথবা জননেত্রী শেখ হাসিনার আশপাশে থাকা তার সিকিউরিটির (নিরাপত্তা) জন্য হুমকি।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, দুদক যদি এ বিষয়ে দেরি করে তাহলে আমরা বিশ্বাস করব, দুদক শুধুমাত্র একটি লেভেল পর্যন্ত যায়। যে লেভেলের ওপরে গোলাপ সাহেবরা থাকেন। গোলাপ সাহেবদের লেভেল পর্যন্ত দুদক পৌঁছাতে পারে না, এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, গোলাপ সাহেবের ৯টা সম্পত্তি শুধু নিউইয়র্কে পাওয়া গেছে। কত সম্পত্তি যে বাংলাদেশে আছে সেটির হিসেব তো আর আমি নিতে পারব না। এই লোকটা যদি এসব সম্পত্তি এমপি থাকাকালীন সময়ে করে থাকেন, তাহলে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলের নাম ব্যবহার করে যে টাকাটা তিন কামাই করেছেন অবৈধভাবে।