আর্কাইভ থেকে বিএনপি

পরিবার-পরিজনের শুভকামনায় মির্জা ফখরুলের জন্মদিন শুরু

পরিবার-পরিজনের শুভকামনায় মির্জা ফখরুলের জন্মদিন শুরু
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন। জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজন পছন্দ করেন না বর্ষীয়ান এই নেতা। শুধু নেতাকর্মীরা এই দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানান। বিশেষ এই দিনে পরিবার-পরিজন মির্জা ফখরুলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। আজও প্রবাসী মেয়ে শামারুহ মির্জার কাছ থেকে শুভকামনা পেয়ে শুরু হয়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিন। দুই মেয়েকে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। বিএনপি মহাসচিবের বড় মেয়ে মির্জা সামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্বামী-সন্তান নিয়ে আছেন। সেখানে সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলোশিপ নিয়েছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ধানমণ্ডির ‘স্যানি ডেল’ স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব। নয়াপল্টনে আসার পর দলের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জন্মদিনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর আগেই বারণ করে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুলের বাবার নাম মির্জা রুহুল আমিন। তিনি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী। মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময়েই ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। এসএম হল শাখারও নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে হয়ে যান সরকারি চাকুরে। অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা জীবন শুরু করলেও কয়েকটি কলেজ ঘুরে পরে সরকারের পরিদর্শন ও আয়-ব্যয় পরীক্ষণ অধিদফতরে নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তবে সাত বছরের মধ্যে রাজনীতিতে আবারও ফিরে আসেন। জিয়াউর রহমান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী এসএ বারীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে নিজ জেলায় ফিরে আবারও শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে আবারও শিক্ষকতা ছেড়ে সার্বক্ষণিক রাজনীতিতে ফেরার প্রস্তুতি নেন। নির্বাচিত হন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান। এক বছর পরে যোগ দেন বিএনপিতে। ৭৬ বছরে পা দেওয়া এই রাজনীতিকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সিনিয়র এবং তরুণ নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিক্ত হয়েছেন ভক্ত-অনুসারীদের শুভেচ্ছাবার্তায়। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালযে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সাংবাদিকরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে মির্জা ফখরুল বলেন, ধন্যবাদ আমাকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, আমার সময় প্রায় শেষের দিকে। মির্জা ফখরুল বলেন, পা রাখলাম ৭৬ এ। আমার কাছে এখনকার জন্মদিন নিদারুণ কষ্টের। কারণ আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাবন্দি, এখন গৃহে অন্তরীণ হয়ে আছেন। নিদারুণ কষ্ট-যন্ত্রণায় দিনযাপন করছেন। এরকম একটা অবস্থায় জন্মদিন নিয়ে কি বলার আছে?

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পরিবারপরিজনের | শুভকামনায় | মির্জা | ফখরুলের | জন্মদিন | শুরু