যশোরে গেলো ৭২ ঘণ্টায় বিষাক্ত মদ পান করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৭ জন।
নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ইসলাম (৪৫) ও শাহজাহান আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২৯)।
অসুস্থরা হলেন- আবাদ কচুয়া গ্রামের আবু বক্কর মোল্লার ছেলে আবুল কাশেম (৫৫), সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু (২৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল (৩৬)।
গেলো শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এই ঘটনা জানাজানি হয়। গত বুধবার রাতে ভুক্তভোগীরা ওই বিষাক্ত মদপান করে বলে জানা গেছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেলো বুধবার রাতে যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি মেহগনি ও লিচু বাগানে ওই পাঁচজন বিষাক্ত মাদকজাতীয় দ্রব্য পান করেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ নিজ বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে ইসলামকে পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।
এরপর পরিবারের সদস্যরা ছাড়পত্র ছাড়াই দ্রুত মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে চলে যান।
এদিকে, অন্য চারজন বাড়িতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে তারা একে একে যশোর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরমধ্যে জাকির হোসেন দুপুর পৌনে একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এসময়ই তাদের বিষাক্ত মদপানের বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালে ভর্তি বাবলু ও রিপন হোসেন হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে চলেন। অপর অসুস্থ আবুল কাশেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। তবে রোগীদের মুখে গন্ধ থেকে বোঝা যায় অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করে অসুস্থ হয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন জানান, ‘এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করেছিলেন। কিন্তু তাদের স্বজনরা সেই তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ‘নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্যকেউ কোনো অভিযোগ করেনি।'