রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেনের নাক ফেটে যায়। অন্যদিকে সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন কপালে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। দুজনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার রঘুনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ সরকার গণমাধ্যমে বলেন, ক্লাসরুমে দুই শিক্ষকের মারামারির ঘটনা জানতে পেরেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেন বলেন, সকালে দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলাম। এ সময় সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিল-ঘুসি মারেন। এতে আমার নাক ফেটে যায়।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, বদলির কাগজে স্বাক্ষর না করায় প্রায় দুই বছর আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সামনে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিলেন সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াত।
এদিকে ঘটনার সময় সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনিও সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তবে প্রধান শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. কানিজ ফাতেমা বুশরা বলেন, সকালে দুই শিক্ষকই হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রধান শিক্ষক মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। আর সহকারী শিক্ষক কপালে সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।