বিশ্বে করোনা ঠেকাতে লকডাউন শিথিলের বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি জানিয়েছে, মহামারির বিপদ এখনো কাটেনি। এরপরও যেসব দেশ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে তাড়াহুড়ো করে বিধিনিষেধ শিথিল করছে এজন্য তাদের বড় মূল্য দিতে হতে পারে।
গেল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, হয়তো বিশ্বের কোনো কোণে সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ অপেক্ষা করছে। পৃথিবীর বেশিরভাগ স্থানে এই মহামারি মাত্র শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উত্তর অ্যামেরিকার সব দেশ মিলিয়ে এখনো প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি রোগী পাওয়া যাচ্ছে। একই অবস্থা ইউরোপেও। সেখানে সপ্তাহে পাঁচ লাখের বেশি রোগী। বিষয়টা এমন নয়, মহামারি চলে গেছে। এটি এখনো শেষ হয়নি।
গেল সপ্তাহে ডব্লিউএইচও আফ্রিকার পরিচালক সতর্ক করে বলেছিলেন, মহাদেশটিতে মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের যে গতি ও বিস্তার দেখা যাচ্ছে তা অভূতপূর্ব। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে প্রতি চার সপ্তাহে করোনা রোগী দ্বিগুণ হয়েছিল। আর এখন তা হচ্ছে মাত্র তিন সপ্তাহে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহ বিস্তারের মধ্যেই নতুন করে এই হুঁশিয়ারি দিল ডব্লিউএইচও। গেল এপ্রিলে করোনার অধিক সংক্রামক এ ধরনটি ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়। এরই মধ্যে ডেল্টা শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটেনে নতুন শনাক্ত রোগীদের ৯০ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ৩০ শতাংশ করোনা রোগীর অসুস্থতার জন্য ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী বলা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, মহামারির ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কোনো দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অন্তত ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনতে হবে।
এসএন