আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলা

গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলা

বিশ্বের প্রধান তিন প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যায়ভাবে নজরদারি ও বাকস্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা করেছেন ট্রাম্প। এসব মামলার প্রধান বাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর তিন প্রধান নির্বাহী যথাক্রমে মার্ক জুকারবার্গ, জ্যাক ডরসি ও সুন্দার পিচাই।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, এই মামলার ঘটনাকে বাকস্বাধীনতার পথে এক নান্দনিক অগ্রযাত্রা হিসেবে আখ্যায়িত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে নিজের গলফ রিসোর্টে সংবাদ সম্মেলনে ডেমোক্র্যাটদের এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।

মামলায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে যুক্ত করা বাক-স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, এই তিনটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অন্যায়ভাবে তার ও অন্যান্য রক্ষণশীলদের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার আগে পরীক্ষা ও নজরদারি করতো।

বুধবার ট্রাম্প বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্লোরিডার মিয়ামির জেলা আদালত বরাবর মার্কিন জনগণের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোর অবৈধ, লজ্জাজনক পরীক্ষা ও নজরদারি অবিলম্বে বন্ধের আবেদন জানাচ্ছি আমরা।

অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও। তারা হলো; ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, টুইটারের সিইও জ্যাক ডোর্সে ও গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই।

তবে মামলার খবরে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি টুইটার, ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষ।

গেল জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে সমর্থকদের দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার ঘটনার পর জননিরাপত্তার কথা বলে একে একে টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেয়। তবে ট্রাম্পের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠানের সেন্সরশিপের শিকার তিনি। মামলায় নিজের ওপর আরোপিত সেন্সরশিপ প্রত্যাহারের আবেদনও করেছেন ট্রাম্প।

বড় তিনটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাখানের কারণে মাঝে নিজের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করেন ট্রাম্প। তবে মাস খানেকের মাথায় তা বন্ধ করে দেন।

এদিকে ট্রাম্পের মামলা করার বিষয়টিকে তাঁর মিডিয়ার নজর পাওয়ার অভ্যাসগত প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে আইন বিশেষজ্ঞরা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গুগল | ফেসবুক | ও | টুইটারের | বিরুদ্ধে | ট্রাম্পের | মামলা