শিল্পের নান্দনিক উপস্থাপনার দেখা মিলবে এখানে। এবারের আর্ট সামিতে যোগ দিয়েছেন দেশি-বিদেশি ১৬০ জন শিল্পী। এবারের আর্ট সামিটের মূল প্রতিপাদ্য বন্যা। একদিকে দুর্যোগ, অন্যদিকে প্রতিকূলতার মধ্যে লড়াই আর সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গল্প ফুটে উঠেছে নানান মাধ্যমে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এই সামিট চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ষষ্ঠ ঢাকা আর্ট সামিটে শিল্প কতোরকমের হয়, তার একধরনের ধারণা মিলবে। চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, পারফরমিং আর্ট থেকে শুরু করে আলোছায়ার নান্দনিক আর দ্বান্দ্যিক খেলায় সমকালীন শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফরমিং আর্টের মাধ্যমে উঠে আসে গতি আর ব্যক্তির নিজস্ব তীব্র আকুলতা। উঠে দাঁড়ানোর স্পৃহা, ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যকুলতা আর রুখে দাঁড়ানোর অদম্য সাহস। লেজার মেশিন দ্বারা সৃষ্ট শিল্পী ম্যাট কপসনের শিল্পকর্মে তুলে ধরা হয়, একজন শিশু ভেতরে বাইরে কতটা ঝড়ের মুখোমুখি হয়। অস্তিত্বের দ্বন্দ্ব্যের কথা উঠে আসে বাড়ন্ত শিশুর সংগ্রাম কিংবা সৌন্দর্যে।
আয়োজকরা বলছেন, এবারের সামিটের থিম ‘বন্যা’। যে নাম কখনও নারীর, কখনও বা দুর্যোগে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের আর ঘুরে দাঁড়ানোর।
ঢাকা আর্ট সামিটের পরিচালক নাদিয়া সামদানী বললেন, যেহেতু সমসাময়িক কোনো আর্ট মিউজিয়াম নেই, এজন্য আমাদের আর্ট দেখার জায়গাও কম। এজন্য ঢাকা আর্ট সামিট একটা পপআপ মিউজিয়াম হিসেবে কাজ করে।
ঢাকা আর্ট সামিটের উদ্বোধন করে অতিথিরা প্রকাশ করেন নিজেদের মুগ্ধতা। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, শব্দ-লেজার-স্কাল্পচার সব মিলিয়ে কনটেমপরারি আর্টের যে নতুন মিডিয়াম শুরু হয়েছে এটিকে আমি একটি ভাল উদ্যোগ বলে মনে করি।
আর্ট সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, সব হারিয়ে আবার নতুন করে লড়াই শুরু করার যে প্রবণতা বাঙালি জাতির রয়েছে সেটিকে আর্ট সামিটের উদ্যোক্তারা তুলে ধরেছেন।
সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকা আর্ট সামিটে যোগ দিয়েছেন দেশি-বিদেশী শিল্পী আর শিল্প সমালোচকরা। সামিট চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এএম