স্বাধীন দেশে আজ ভিন্ন মত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের সামাজিক ভিত্তি রচনা করা হচ্ছে। ক্ষমতা লিপ্সায় সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। সুতরাং দেশ ও জনগণের স্বার্থেই এ অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। রাষ্ট্রে গণতান্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের সম্মতিবিহীন এই ‘অবৈধ’ সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সমাবেশে এসব কথা বললেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো’সহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, চলমান বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ যুগপৎ কর্মসূচিতে সরকার অব্যাহত উসকানি দিয়ে সহিংসতার পথে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের যাবতীয় উসকানি হামলা ও দমন-পীড়ন মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে যুগপৎ ধারায় আরও বেগবান করতে হবে।
এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ হা-হুতাশ করছে। সামনে রমজান মাস এখনই দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। বিদ্যুতের দাম গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রতারণা করে জনগণের কাছ থেকে সব টাকা লুটপাট করে নিচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য, সমাবেশ থেকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা। সরকারের পতন, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
এএম