৩২ বছর আগে একশ টাকার ঘুষ নিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে ক্লার্ক রাম নারায়ণ ভার্মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অবসরপ্রাপ্তকে এক বছরের জন্য জেল দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে ১৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।
স্পেশাল সিবিআই বিচারপতি অজয় বিক্রম সিং বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সী এই অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে ক্লার্ককে এই সাজার আদেশ দেন।
তবে আদালত জানা যায়, তার বয়স বেশি হওয়ার কারণে তিনি শাস্তির ভার কিছুটা কমানোর জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। ইতোমধ্যেই তিনি দুদিন জেলে কাটিয়েছেন। তবে আদালত অবশ্য এনিয়ে কোনও ছাড় দিতে চায়নি। কারণ এটা হলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা যেত।
বিচারপতি জানিয়েছেন, দুদিনের জেলটা যথেষ্ট নয় এই মামলায়। তাকে এক বছরের জন্য জেল খাটতে হবে।
রাম কুমার তিওয়ারি। নর্দার্ন রেলের অবসরপ্রাপ্ত লোকো ড্রাইভার। তিনি ১৯৯১ সালে সিবিআইয়ের কাছে একটি এফআইআর করেন। তিনি অভিযোগ তোলেন পেনশন পাওয়ার জন্য তার মেডিক্যাল টেস্টের প্রয়োজন ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত রাম নারায়ণ ভার্মা ১৫০টাকা ঘুষ চান। এরপর ১০০ টাকাতে তিনি রফা করেন। এরপর সিবিআইয়ের কাছে রামকুমার অভিযোগ জানান। ফাঁদ পাতে সিবিআই। তারপর ১০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় তিনি হাতে নাতে ধরা পড়ে যান। এরপর ভার্মার বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ভার্মার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই।
৩২ বছর আগের ঘটনা। সেই সময় ১০০ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন ওই সরকারি কর্মী। হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি। এতদিন ধরে তার মামলা চলছিল। অবশেষে তাকে এক বছরের জন্য জেলে পাঠাল আদালত।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ঘটনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কতটা কঠোর সেই বার্তাটিও সামনে এসেছে। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পরেও তিনি রেহাই পাননি। বৃদ্ধ বয়সে তাকে এবার জেল খাটতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যদি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান তবে তার পরিণতি কী ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটাও পরিষ্কার হয়েছে এই ঘটনায়। বৃদ্ধ বয়সে তাঁকে এখন জেলের অন্তরালে কাটাতে হবে। মাত্র ১০০ টাকা ঘুষ নেয়ার অপরাধে এবার বৃদ্ধ বয়সে তার জেলবাস।