তুরস্কের সিরীয় সীমান্তবর্তী গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৯১২ জন নিহত হয়েছে এবং ৫,৩৮৩ জন আহত হয়েছে। বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে আজ ভোরের দিকে আঘাত হানা ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে লেবানন ও সাইপ্রাসেও।
এরদোগান বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা কতটা বাড়বে তা তিনি অনুমান করতে পারছেন না।
১৯৩৯ সালের পর এটিই দেশের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে ২ হাজার ৮শ ১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।
ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়া ভবনে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। দুর্যোগ মোকাবেলার দ্রুত পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব নেতারাও। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা।
তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ ও সিরিয়ার বেশ কয়েকটি বড় শহরের বহু স্থাপনা ধ্বসে পড়েছে। এ সময় বেশিরভাগ মানুষ ঘুমে থাকায়, হতাহতের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। স্বজনদের খোজে ধ্বংসস্তূপ ও হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন স্বজনরা।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতই প্রবল ছিল যে, সাইপ্রাস, লেবানন এমনকি ইরাকেও অনুভূত হয়েছে এটি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম কম্পনের প্রায় ১১ মিনিট পর ছয় দশমিক সাত মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ ছাড়া, ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে ৪২ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে তুরস্কের সরকার।