আর্কাইভ থেকে জাতীয় পার্টি

টেলিফোনে আড়িপাতা সংবিধান লঙ্ঘন: জি এম কাদের

টেলিফোনে আড়িপাতা সংবিধান লঙ্ঘন: জি এম কাদের
প্যাসিটোরার তৈরি স্পাই ওয়ার’ নামে একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে বিরোধী মতালম্বী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী ও সরকারের বিরোধিতা করে কথা বলেন এমন ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। বলেছেন, বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জি এম কাদের বলেন, ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিশ্বের ২৭টি নামি দামি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিশ্বের ৪৫টি দেশে স্মার্টফোনে আড়িপাতার জন্য একটি গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। সে তালিকায় বাংলাদেশও আছে। সেখানে রিপোর্টে বলা হয়েছে- স্মার্টফোনে অড়িপাতার জন্য ‘পিয়ারহে ‘ বা ‘স্পাই ওয়ার’ ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২২ সালে ৫৭ লাখ ডলার ব্যয়ে এ আড়িপাতা প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ, যা সুস্পষ্টভাবে আমাদের সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদের ৪৩ ধারায় লঙ্ঘন। তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে- প্রত্যেক নাগরিক নিয়মিত কথা বলা ও মনোভাব আদান-প্রদান করতে পারবে, এটা তার জম্মগত অধিকার। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতিরেকে স্পাই ওয়ার বা যেই প্রযুক্তি ব্যবহার করুক না কেন তা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলা যায়। যে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তার ফোনে আড়িপাতা অনৈতিক ও সংবিধান পরিপন্থি। এগুলো ব্যবহৃত হয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড জানার জন্য। কিন্তু আমাদের এখানে এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে যারা সরকারের বিরোধিতা করে তাদের ফোনালাপ, মেসেঞ্জারে নিয়মিত আড়িপাতা ও রেকর্ড করার জন্য। তিনি আরো বলেন, আর একটা হতে পারে- সব বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করা, তাদের একে-অপরের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান বা কথা বলার অধিকার এদেশের মানুষের জম্মগত অধিকার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, যে দেশে প্রজাগণ মালিক তারা কথা বলবে, মতপ্রকাশ করবে সেটা সবার কর্তব্য। এ ধরনের আড়িপাতার কর্মকাণ্ড এদেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তিনি এর ঘোর বিরোধিতা করে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টেলিফোনে | আড়িপাতা | সংবিধান | লঙ্ঘন | জি | এম | কাদের