সব জলাভূমির সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক জলাভূমি মন্ত্রণালয় গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কৃষিজমি, নিম্নভূমি, জলাভূমি ও মেঘনা নদীর অংশের জমি ভরাটকে অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৩২ পৃষ্ঠার এ রায়ে দেশের সব জলাভূমি রক্ষায় ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রায়ে জলাভূমিকে পাবলিক ট্রাস্ট প্রোপার্টি ঘোষণা করা হয়েছে। জলাভূমি সুরক্ষা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় আইন প্রণয়ন করতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাভূমি রক্ষার ওপর প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর এক ঘণ্টার ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের সব সড়কে সাইকেল লেন করার মতামত দিয়ে আদালত বলেছেন, এটি দেশকে উন্নত করবে। সেই সঙ্গে প্লাস্টিকের ব্যাগ বন্ধেও নির্দেশনা এসেছে রায়ে। বিশ্ব ঐতিহ্যের যেমন সুন্দরবন, বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ রক্ষা, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার রক্ষায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কৃষিজমি, নিম্নভূমি জলাভূমি ও মেঘনা নদীর অংশের জমি ভরাটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
শুভ মাহফুজ