গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সোলায়মান সরকার (৫৪) নামের এক ধান-চাল ব্যবসায়ী ৭দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার খোঁজ না পাওয়ায় স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। নিখোঁজ ব্যবসায়ীর বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত. মুনছুর আলীর ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ফুলছড়ি-গাইবান্ধা সড়কের উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোলায়মানকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার পরিবারের কাছে একাধিক মোবাইল থেকে কল করে মুক্তিপণ দাবী করা হচ্ছে। পুলিশ একটু তৎপর হলে এসব মোবাইলের সূত্র ধরে তাকে খুঁজে পেতে পারে। তারা নিখোঁজ সোলায়মান সরকারকে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, উদাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন, কঞ্চিপাড়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান লিটন মিয়া, উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম যাদু, নিখোঁজের ভাই হইবর রহমান হবু, মেয়ে মাহমুদা আকতার, সোমা আকতার প্রমুখ। পরে এলাকাবাসী ও নিখোঁজ সোলায়মান সরকারের পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
নিখোঁজের স্বজনরা জানান, সোলায়মান সরকার গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর বেলায় ফজরের নামায আদায়ের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর বেলা বাড়লেও বাড়িতে ফিরে আসেনি তিনি। একপর্যায়ে স্বজনরা মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ফজরের সময় সোলায়মান নামায পড়তে আসেনি। এতে করে বাড়ির লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। শুরু হয় সম্ভাব্য স্থানগুলো খোঁজাখুঁজি। তাকে খুঁজে না পেয়ে পরেরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি তার ছোট ভাই আব্দুর রউফ মিয়া ফুলছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
নিখোঁজের ছোট ভাই আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, ‘এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আমার ভাইয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা কামনা করছি।’
এ বিষয়ে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী বলেন, ‘সোলায়মান সরকারের নিখোঁজের বিষয়ে তার স্বজনরা একটি জিডি করেছেন। জিডির সূত্র ধরে সব থানায় নিখোঁজের ছবি পাঠানো হয়েছে। তার সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। যেসব মোবাইল থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে সেগুলোর সিডিআর চাওয়া হয়েছে। সেগুলো হাতে পেলে আমাদের কাজ সহজ হবে।’