কেরানীগঞ্জে পুলিশ ও ডিবির পৃথক অভিযানে আন্তজেলা মলম পার্টির ৩ সদস্য ও অজ্ঞান পার্টির ১২ সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা দক্ষিন ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মলম পার্টির জুয়েল গাজী (৩৬), কামাল উদ্দিন ওরফে মুন্না (৪৫) ও পারভেজ (৩২) এবং অজ্ঞান পার্টির শানুখা (৪১), মোজাফ্ফর আকন্দ ওরফে স্বপন (৩৫), মোঃ আবু তাহের (৪৫), মোঃ সুজন হাওলাদার (২৭), আখি আক্তার (২৩), মোঃ রাশেদ (৪০), মাসুদ হাওলাদার (৪৮), মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে জয় রাজবংশী (২৭), মোঃ আকাশ মৃধা (২৫), মোঃ কাদির মৃধা (৪৫), মোঃ তপন (২৭) ও মোঃ আসলাম হোসেন (৪৮)।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, মলম পার্টির ৩ সদস্যর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহ্রত ২ টি সিএনজি, ২ টি মোবাইল ও নগদ ৪৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এছাড়া ঢাকা জেলা দক্ষিন ডিবি পুলিশের অভিযানে অটোরিক্সা চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে চুরি যাওয়া ১১ টি অটোরিক্সা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
তিনি আরও জানান, মলম পার্টির সদস্যরা সিএনজিতে যাত্রীবেশে উঠে যাত্রীদের চোখে মচিরে গুড়া ও মলম ডলে দিয়ে যাত্রীদের সবকিছু লুটে নিয়ে কোন নির্জন জায়গায় যাত্রীকে ফেলে দিয়ে চলে যেতো। আর অটোরিক্সা চুরি চক্রের সদস্যরাও রাতের বেলা যাত্রীবেশে অটোরিক্সা চুরির উদ্দেশ্যে অটোরিক্সা ভাড়া করে। কৌশলে অটোরিক্সা চালককে চা, জুস ও বিস্কুটের সারেথ নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চালকে অচেতন করে অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যেতো। মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের নামে কেরানীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই সব চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিবি মোবাশশিরা হাবিব খান, কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজামান ও ঢাকা জেলা দক্ষিন ডিবির ইনচার্জ সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।