ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশ দুটিতে বাড়ছে মরদেহের সংখ্যা। গৃহহীন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক লোক। জীবন রক্ষার্থে ঠান্ডা ও ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছে তারা। একইসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। তবে, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে উঠছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের ৯০ ঘণ্টা পর তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হাতায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক নবজাতকসহ মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১০ দিনের ওই নবজাতকের নাম ইয়াগিজ।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমে ওই নবজাতককে উদ্ধারের একটি ভিডিও প্রচারিত হয়েছে। এই ঘটনাকে ‘মিরাকেল’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন তারা। ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক শিশুকে যত্নসহকারে ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে তোলা হচ্ছে। পরে তাকে শীত থেকে রক্ষার্থে একটি কম্বলে প্যাঁচান হচ্ছে ও অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, ওই নবজাতকের মাকে একটি স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে নেয়া হচ্ছে। ওই মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি।
এই নবজাতক ও মাকে উদ্ধারে কাজ করেছে ইস্তানবুলের একটি উদ্ধারকারী দল। ইস্তানবুলের মেয়র একরাম ইমামোগ্লু এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘সামাডাগ শহর থেকে আমাদের উদ্ধারকারী দল ওই মা ও নবজাতকে উদ্ধার করেছে।’
গেলো সোমবার দুই দফায় তুরস্ক ও এর পার্শ্ববর্তী দেশে সিরিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে দুদেশে এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে, যার অধিকাংশই তুরস্কের।
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্যোগ’ বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান। এই ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজ শ্লথ গতিতে চলছে বলে অভিযোগ করছে এরদোয়ানের বিরোধীরা। তাদের দাবি, এরদোয়ান প্রশাসন ভূমিকম্পের প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।