Connect with us

জাতীয়

প্রশাসনে আসছে বড় ধরনের রদবদল

Avatar of author

Published

on

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক পদের জন্য যোগ্য কর্মকর্তা বাছাই করতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাছাই পরীক্ষা শুরু হবে। ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের ১৪১ জন কর্মকর্তাকে ওই পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে। অপরদিকে ২৫ ব্যাচের ৯০ জন কর্মকর্তাকেও ডাকা হয়েছে। ২৫ ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা দ্বিতীয় বারের জন্য ডাক পেয়েছেন বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব মূলত পালন করবেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। এ জন্য ডিসি নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা (ফিটলিস্ট) করতে বেশ সতর্ক সরকার। এ পদের জন্য এবার অধিক আস্থাশীল ও আদর্শগত পছন্দের কর্মকর্তা খোঁজা হচ্ছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন ডিসি পদে রদবদল করতে চাইলেও এ তালিকা থেকেই করতে হবে। ফলে খুব দ্রতই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথা মাঠ প্রশাসনে রদবদল করা হবে।

জানা গেছে, এ রদবদল হবে সরকারের বর্তমান মেয়াদে সর্বশেষ রদবদল। এ প্রক্রিয়ায় যেসব কর্মকর্তা (ডিসি-এসপি-ইউএনও এবং ওসি) দায়িত্ব পাবেন মূলত তারা আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলছেন, প্রশাসনে বদলি, নিয়োগ ও পদোন্নতি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। রদবলদ পক্রিয়ায় কে কখন নিয়োগ লাভ করেছে সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। বিবেচনা করা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি কর্মকর্তাদের আনুগত্য, সক্ষমতা-দক্ষতা এবং পূর্ববর্তী কর্মস্থলে তার কাজের মান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলা প্রশাসক তথা ডিসি পদে ২২-২৪ ও ২৫তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগই দুই বা তিন বছরের কাছাকাছি সময় দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণত দুই বছর ক্ষেত্র বিশেষ তিন বছর মাঠ প্রশাসনের কোনো পদে চাকরিকাল সম্পন্ন হলে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। ভবিষ্যতে ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের সংখ্যাগত দিক বিবেচনায় প্রাধান্য দিয়ে জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ উদ্দেশে এ ব্যাচের মধ্যে জেলা প্রশাসক পদের জন্য যোগ্য কর্মকর্তা বাছাই করতে আগামী ২৫ ফেরুয়ারি থেকে এ বাছাই পরীক্ষা শুরু হবে।

Advertisement

সূত্র আরও জানায়, ৬৪ জেলার মধ্যে অর্ধেকের বেশি পদে ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে দেখা যাবে। ২৫তম ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাও থাকবেন।

অপরদিকে পুলিশ সুপার পদেও আনা হচ্ছে বড় পরিবর্তন। যদিও পরিবর্তন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে চলমান রয়েছে। এছাড়াও ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে যেসব ইউএনও এবং ওসি নিয়োগপ্রাপ্ত তাদের অধিকাংশই প্রত্যাহার হবেন এ রদবদল প্রক্রিয়ায়।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব শূন্যজনিত কারণে পূরণ করার পর এখন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কেন্দ্রীক সচিব ও মধ্যম স্তরের কর্মকর্তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে। এ কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, আশপাশের দেশগুলোতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ,সন্ত্রাসীদের নিজস্ব একটি পরিকল্পনা এবং চেইন থাকে। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১২ মে) কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ,আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটছে। অনেক রোহিঙ্গা মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জড়িয়ে গেছে। যার ফলে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দিনদিন।

প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সব সময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত। কিন্তু গত ৭ বছরে একজনকেও নিয়ে যায়নি। সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছে যাতে মিয়ানমারকে তারা চাপ প্রয়োগ করে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত গত ৭০ বছর ধরে ছিল। এখন এটাকে প্রত্যাবাসনে অজুহাত হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই।

Advertisement

ডোনাল্ড লু এর সফর সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে চমৎকার। এ সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার।

তিনি আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনের পর অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর শুরু করেছে বিএনপি। তারা এখন তাবিজ ও দোয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৩৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশ এআইয়ের অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) স্বাগত জানায়, তবে এর অপব্যবহার রোধে কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা এআইকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।

রোববার (১২ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে অ্যাপোস্টোলিক নুনসিও অফ দ্য হোলি সি’র আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ‘আমরা সবাই মিলে আমাদের উৎসব উদযাপন করি।’

শেখ হাসিনা আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের মাধ্যমে পোপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। আর্চবিশপ র‌্যান্ডাল জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বেঠকে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ইতালিতে আরও বাংলাদেশি জনবল নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

এটা খুবই দুঃখজনক যে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টাকালে বাংলাদেশিসহ বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছে, যাতে কেউ অবৈধভাবে কোনো দেশে না যায়। এ লক্ষ্যে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছি। ইতালিতে বৈধ উপায়ে আরও বাংলাদেশি জনবল নেয়ার অনুরোধ করছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (১২ মে) ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইতালির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ছাড়াও বাংলাদেশের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, অধিকন্তু সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশের জন্য ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।

শেখ হাসিনা ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর মাধ্যমে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

Advertisement

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অঙ্গনে পা রাখবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে তিনি ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য দেশটির জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে দক্ষিণ ইতালির সহায়তা কামনা করেন।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে সহায়তা করতে চায়।

তিনি বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রদানে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

Advertisement

তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় উভয়েই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হন।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত