Connect with us

বিনোদন

আমি অনেক বড় ছাগল ছিলাম: প্রভা

Avatar of author

Published

on

প্রভা

দীর্ঘদিনের প্রেমিক রাজিব হাসানের সঙ্গে বাগদান হয়েছিল ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভার। সময়টা ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল। ওই বছরেরই ১৯ আগস্ট শুটিং সেট থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে।

তাদের বিয়ের পর রাজিবের সঙ্গে প্রভার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রাজিবের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে অপূর্বের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয় প্রভার।

এরপর দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে চলে যান তিনি। রাজিবের সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল তা নিয়ে এতদিন কোনো কথা না বললেও এবার মুখ খুললেন প্রভা। নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়গুলো কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।

প্রভা

প্রভা লিখেছেন- ‘আমি কোনো প্রতারণা করি নাই! আমি চুপ করে থাকি বলে এই না যে, আপনারা আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই বানিয়ে বলবেন। আমার শুধু মনে হচ্ছিল আপনাদের কাছে প্রমাণ করে কী লাভ; ওপরে যিনি আছেন, যার কাছে যাব, যিনি বিচারকারী তিনি জানলেই তো হয়।

‘বিয়ের আগেই সম্পর্ক করে যে গুনাহ আমি করেছি সেই গুনাহর জন্য জনতার কাছে আমি প্রতিনিয়ত মাফ চাচ্ছি মাফ চাইব! কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের কাছ থেকে অনেক সওয়াব কামাবো! কারণ আপনারা না জেনে আমাকে গালি দেন। না বুঝে আমাকে একতরফা প্রতারক বানিয়ে দিয়েছেন।’

Advertisement

তিনি লেখেন- ‘শোনেন….. প্রথমত আমি রাজিবকে সব জানিয়ে বিয়ের কথা শুরু হয়। কারণ বিয়ের নয় দশ মাস আমার সঙ্গে রাজিবের ব্রেকআপ থাকে, আমাদের সেই আট বছরের সম্পর্কের অলমোস্ট ৫-৬ বছরই ব্রেকআপ থাকতো। রাজিব আমাকে কখনই সম্পর্ক থেকে বের হতে দিত না। এটা ওর সাইকোলজিকাল সমস্যা ছিল। ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে ও! কারণ ওর বাবা ওর মাকে ছেড়ে খুব ছোটবেলায় অন্য এক নারীকে বিয়ে করেছিল।

প্রভা

তাই হয়ত ওর মনের মধ্যে ওই জেদ ছিল যে, ওকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না! আর তাই এই আমাকে বিভিন্নভাবে কনভেন্স করে পার্সোনাল কিছু মুহূর্তের চিত্র ধারণ করে রাখে। যাই হোক সেটা যদি আপনারা সাইবার ক্রাইমের বিভিন্ন গল্প পড়ে থাকেন যে, কেমন করে ছেলেরা মেয়েদেরকে কনভেন্স করে, তাহলে আরও ক্লিয়ারলি জানতে পারবেন।’

‘আমি রাজিবকে অনেকবার ছেড়ে যেতে চেয়েছি। আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে, ব্রেকআপের পরে আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেই বিয়ে আমি করিনি। রাজিব পড়াশোনা করত না। আমি তাকে চিনি যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। কিন্তু আমি যখন অনার্স থার্ড সেমিস্টার, তখন পর্যন্ত সে অনার্স ফার্স্ট সেমিস্টার। কেন জানেন, কারণ সে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতো! কিন্তু বারবার রেজাল্ট খারাপ করতো, ইউনিভার্সিটি তাকে বের করে দিত আবার অন্য ইউনিভার্সিটিতে টাকা দিয়ে ভর্তি হতো।

‘ও আরেকটা কথা রাজিব কিন্তু কোনো ইনকাম করত না। রাজিবের বাবার টাকা ছিল। কিন্তু রাজিবের সঙ্গে আমার আরেকটা সমস্যা ছিল সেটা হলো যে, রাজিব কোনো কিছু ইনকাম করতে চাইত না! ওর কথা, আমার বাবার এত আছে আমার কেন ইনকাম করতে হবে। এই জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব হতো। সবচেয়ে বেশি হতো পড়াশোনা নিয়ে। এই সব জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচুর ব্রেকআপ হয়েছে!’

প্রভা

তিনি লিখেছেন- ‘যাইহোক ওই ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়েছিল, আংটি বদল হয়েছিল কিন্তু সে আংটি বদলের আট মাস আগে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না। ওই যে বললাম, আমাদের আট বছরের সম্পর্কের ব্রেকআপই থাকত অনেক। তো বিয়ের কথা শুরু হওয়ার সময় আমি রাজিবকে জানিয়ে দেই বিগত এতগুলো মাস আমার কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, আমি সেই ছেলে, তার সঙ্গে আমার ভালোলাগা আছে; কিন্তু এটা হবার না, হবে না বুঝেই গেছি- এরকম কথাগুলো আমি তার সঙ্গে ক্লিয়ার করে নিয়েছিলাম। আমার তখন বয়স ছিল ২২, মাথায় বুদ্ধি ছিল না। থাকলে তো সবার আগে রাজিবের সঙ্গে প্রেম করতাম না।’

Advertisement

প্রভা লিখেছেন- ‘বুদ্ধি যদিও আমার এখনো হয় নাই। যাইহোক আমার কাছে মনে হয়েছে, বিয়ে করার আগে তাকে সব কিছু জানিয়ে দেই, যে কার সঙ্গে মাঝখানে সম্পর্কে হতে গিয়েও হয় নাই! (যার কথা বলছি ওনার সঙ্গে আমার পরবর্তীতে বিয়ে হয়েছিল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলাম তাকে) এতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

‘আমাদের এনগেজমেন্টের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই রাজিবের সঙ্গে আমার কথা বলা বন্ধ থাকত। ঝগড়া হতো বিভিন্ন কারণে। প্রচণ্ড মিথ্যা কথা বলতো। সব কিছু মিলায়া আমার মন যখন কোনোভাবেই মান ছিল না ওকে বিয়ে করতে, আমি বারবার ওকে অনুরোধ করছিলাম যে, চলো বিয়েটা না করি। আমাদের এই বিয়ে ছয় মাসও টিকবে না! একথা আমি আমার বাসায়ও বলেছিলাম। কিন্তু আমার তো অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিল। ২২/২৩ বছরের একটা মেয়ে বিয়ে তো করতেই হবে বলেন! যাইহোক এ সমস্ত কথা আর নাই বলি!’

প্রভা

তিনি লিখেছেন, ‘পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটা খুব না জানা আপনাদের। যেদিন এই ঘটনাটা ঘটে তার বেশ কিছুদিন ধরে আমার আর রাজিবের খুব ঝগড়া, খুব বিশাল ঝগড়া হতো। রাজিব বুঝে গেছিল যে আমার মনটা নাই। বুঝে কেন যাবে, আমি তাকে ভেঙে নিজেই বলছি যে, শুধু আংটি পরানো হয়েছে, কিন্তু আর কিছু হয় নাই। চলো এটা এখানেই শেষ করি। কিন্তু সে তো নাছোড়বান্দা, তার ওপর সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ছিল তার। মাথায় ছিল তার বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেছিলো, তাকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না, তার কাছে তো প্রমাণ আছে!

‘প্রমাণ এর কথায় মনে পড়ল, একবার খুব কায়দা করে তাকে জানতে চাইছিলাম যে, কই আছে ওগুলা, চলো তুমি আর আমি মিলে একটু দেখি। তখন সে আমাকে বলছিল, তুমি কি পাগল; তুমি আমার বউ হবা এজন্য আমি সব কিছু ডিলিট করে দিয়েছি। আসলে তো ডিলিট করে নাই। এখন বুঝতে চান, মানসিকভাবে মানুষটা কি পরিমাণ ক্রিমিনাল মাইন্ডেড!? আসলে ওকে সম্পূর্ণভাবে দোষ দেয়া যায় না! এমন একটা পরিবেশে, যে পরিবেশে বাবা ছিল না, কষ্টে সারাটা জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে, ঠিকমত সোশ্যালি মানুষের সাথে মিশতে পারে নাই এরকম একটা মানুষ আস্তে আস্তে ক্রিমিনালই পরিণত হবেন।’

প্রভা

প্রভা লিখেছেন, ‘তারপর সে আমার বাসায় এ ব্যাপারে বিচার বসায়। আমার বাবা-মা আমাকে বকাঝকা করে সত্যি কথা বলি। আমি বাবা-মাকে কষ্ট দিয়েছি, আমি আমার বাবা মাকে না বলে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আরেকজনের হাত ধরছিলাম… কিন্তু যার হাত ধরতে বলছিল ওই সময়ে সেই মানুষটাও তো ভুলই ছিল। যদিও সেই মানুষটার আমাকে পছন্দ ছিল, আসলে আমি নিরুপায় পছন্দ করেছিলাম। বাসায় এত বিয়ের চাপ দেয়া হয়েছিল যে, আমি নিরুপায় হয়ে ওকে বলেছিলাম ঠিক আছে তুমি আমাকে বিয়ে করো, কিন্তু আমি তো সব জানিয়ে বিয়েটা করতে গিয়েছিলাম। আমি কাকে ভালোবেসে ছিলাম, আমাদের ব্রেকআপের পরে সম্পর্ক তো হতেই পারে! তো মনের মধ্যে বিষ রেখে দিয়েছিল কেন যে ওকে ভালো লাগে না, এই ব্যাপারটা করত না সম্মতি দিতে হবে না, তুমি অন্য জায়গায় সম্পর্কে জড়িয়েছিলে, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না, তুমি তো মনের মধ্যে জেদ, সে যে আমারই হবে! কারণ আমার মাকে রেখে আমার বাবা অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছিল। যাই হোক!

Advertisement

‘সেদিন বাসায় এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, আমার কাছে মনে হয়েছিল যে, এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার এই একটাই উপায় আর তাছাড়া আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল- তুমি বাসা থেকে বের হও, আব্বু-আম্মুর সঙ্গে আমার কথা বলো। তুমি বের হলে আমাদের বিয়ে। ওহ আমার প্রাক্তন শ্বশুর-শাশুড়ি প্রাক্তন স্বামীর কলিগ থাকাবস্থাতেই আমাকে অনেক আদর করতেন। বিশেষ করে আমার শ্বশুর, তাই আমার বরং ভরসাই লাগছিল। ভেবেছিলাম বিয়ের পরে কমাস পর বাবা-মা মেনে নেবে! তখন তো আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে! যাই হোক বের হয়ে গেলাম বিয়ে হলো, সকাল সকাল ফোন দিয়ে রাজীবকে জানিয়ে দিলাম আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, ও যেন আনন্দ থাকে, দুদিনের মধ্যে সেই ডিলিট করা (আসলেতো মিথ্যা) ডকুমেন্টগুলো সে পাবলিক করে।’

প্রভা

প্রভা লিখেছেন, ‘আর যেহেতু ধর্মীয়ভাবে অন্যায় করেছি, সোশ্যালি কোনো অন্যায় করিনি তাই ধর্মের নিয়মে বলছি, আমার এই ঘটনার পর আমার প্রাক্তন স্বামীর উচিত ছিল আমাকে আরও বেশি সাপোর্ট করা। মারাও যেতে পারতাম। শুধু আত্মহত্যা করলে কোনোভাবেই সৃষ্টিকর্তার কাছে যেতে পারবো না, সেই ভয়ে আর আল্লাহর সাথে দেখা করার লোভে আত্মহত্যা করি নাই। তার জীবন সুন্দর হয়েছে।’

তিনি লেখেন, ‘যাইহোক ঘটনার দিনের গল্প বলি, আমার সাথে বহুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ কথা বন্ধ মান-অভিমান চলছে আমার প্রথম কথা হয়েছিল চলো বিয়েটা না করেই বিয়েটা টিকবে না, তাই বুঝতে পারত আমিও বলতাম। তারপর উত্তর দেব তাকে কেউ ছাড়তে পারবে না এমনি বসে বন্ধুদের সাথে সিলেট বেড়াতে যাচ্ছিল যাবার আগে আমার একটা পুরনো ফোন সে আমার বাসা থেকে নিয়েছিল সেখানে আমার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে আমার একটা কনভারসেশন আছে।’

‘তুমি কই তোমাকে মিস করছি, মনে পড়ে তোমার কথা খুব, আমিও লিখেছি আমিও তোমাকে মিস করি, আমার তোমার কথা অনেক মনে পড়ে! আমি আমার প্রাক্তন স্বামীকে আসলে অনেক ভালোবেসেছিলাম। তো এটা পড়ে রাজিব আমাকে অনেক অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই এবং এটা ফাইনাল। ও আরেকটা কথা রাজিবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় যতবার ঝগড়া লেগেছে ততবারই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত এবং আমাকে নিয়ে অনেক মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলতো এবং পরবর্তীতে আবার আমার সঙ্গে সে ঠিক করতে চাইত, ও ক্রিমিনাল কিন্তু আমি অনেক বড় ছাগল ছিলাম, যে একটা মানুষ যখন সম্পর্ক টিকেনা সম্পর্ক টানাপড়েন শুরু হয় তখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেই মানুষটার কাছে কেন বারবার আমি ছুটে যাই, ভয় ছিল বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা অনেক আগেই মরে গিয়েছিল, ভয় ছিল ক্ষতির ভয়, যেটা সত্যিতে পরিণত হয়।’

প্রভা

তিনি লেখেন, ‘আপনারা দয়া করে পত্রিকার কথা বিশ্বাস করবেন না। পত্রিকার লোকেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো না। তাদের সঙ্গে এক জায়গায় বসলে বা খেলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে। তারা খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাদের পত্রিকা বিক্রির জন্য তারা নানান কথা বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হয়। স্বচ্ছন্দ বোধ করছে।’

Advertisement

প্রভা লেখেন, ‘যাই হোক তবে আমি এতোটুকু বলতে পারি আমি কোনোদিন লিভ টুগেদারে ছিলাম না। যে বাসায় আমি থাকি মানে আমার বাবা-মায়ের বাসা, সেখানে আমাকে শুটিং ব্যতীত রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ঢুকতে হয়।

‘একটা কথা, বেঁচে যেহেতু আছি, জীবনে চলার পথে ভালোবাসা আসতে পারে। আপনাদের চোখে তো আবার আমি বাজে মেয়ে, বাজে মেয়েটা বহুবার ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হয়েছে। কিন্তু কিছু বলতে পারি নাই। চাইছি সম্পর্ক টিকুক। আমি আবার কিছু বললে আপনারা তো বিশ্বাস করবেন না।’

প্রভা

শেষের দিকে প্রভা লিখেন, ‘আত্মহত্যা করিনি বলে আপনারা আমাকে প্রতিনিয়ত ইন্সপায়ার করেন, মেরে ফেলতে চান, না জেনে না বুঝে আমাকে বিভিন্নভাবে খারাপ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

২০০৫ সালের দিকে একটি সাবানের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিনোদন জগতে আসেন প্রভা। এরপর নাটকের মাধ্যমে নিয়মিত হন ছোট পর্দায়।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

বিনোদন

বিবাহবার্ষিকীর তারিখ মনে নেই রাজের, যা করলেন শুভশ্রী

Published

on

শুভশ্রী

বিবাহবার্ষিকীর দিনে সমাজমাধ্যমে নানা ছবি চোখে পড়ে তারকাদের। ভেসে ওঠে অনুরাগীদের শুভেচ্ছাবার্তা। ১১ মে শনিবার পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকী। তবে বিশেষ দিনটি ভুলে গেছেন রাজ! আসলে শনিবার ভোরে বীরভূমে দলের নির্বাচনী প্রচারে পৌঁছে গেছেন রাজ।

এই বিষয়ে রাজ বলেন, ‘‘বিরাট ভুল করে ফেলেছি! এখানে প্রচারে এসে সকলে আমাকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। তার পর আমার মনে পড়েছে।’’ শুক্রবার রাতে পরিবারের তরফে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা কি ছিল না? রাজ জানালেন, তাকে কেউ বিশেষ দিনটি আর আলাদা করে মনে করিয়ে দেননি। তার কথায়, ‘‘মনে হয়, সকলে আমার পরীক্ষা নিচ্ছিলেন যে ঠিক দিনটা মনে রেখেছি কি না। আবার এ রকমও হতে পারে, শুভ হয়তো আমার তরফে কোনো চমকের অপেক্ষায় ছিল।’’ বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুভশ্রীকে মেসেজ করেছেন রাজ। উত্তর এসেছে, ‘‘সাবধানে যেও।’’ তখনও পরিচালক বুঝতে পারেননি বিষয়টা। পরে বীরভূম পৌঁছতে শুভেচ্ছাবার্তায় স্পষ্ট হয় সবটা। রাজ মজা করে বললেন, ‘‘প্রত্যেক বার পরীক্ষায় পাশ করে যাই। এ বার ফেল করে গিয়েছি।’’

রাজ আরও বলেন, ‘‘ফোন করেছিলাম। ধরেনি। নিশ্চয়ই রাগ করেছে। ভুলটা তো আমারই।’’

পরিচালক বলেন, ‘‘ইচ্ছে থাকলেও এখন উপায় নেই। কারণ বীরভূম থেকে আমি ব্যারাকপুর আর টিটাগড়ে যাব। বিকেলে চারটে প্রচার সারতে হবে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হবে।’’

 

View this post on Instagram

 

Advertisement

A post shared by Subhashree Ganguly (@subhashreeganguly_real)

তবে রাজ বিবাহবার্ষিকীর দিনটা ভুলে গেলেও শুভশ্রী কিন্তু তাকে সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। রাজের সঙ্গে তার একটি ছবি পোস্ট করেছেন শুভশ্রী। সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘আমার ভালবাসা, তোমাকে ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।’’

২০১৮ সালে রাজ-শুভশ্রী সাত পাকে বাঁধা পড়েন। তাদের দুই সন্তান ইউভান ও ইয়ানিলি। এই মুহূর্তে রাজ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তার পর মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে তার ছবিটির শুটিং শেষ করবেন পরিচালক। রাজ পরিচালিত ‘বাবলি’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায়।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

আদিত্যকে নিয়ে অনন্যাকে খোঁচা দিলেন সারা

Published

on

অনন্যা,-আদিত্য,-সারা-আলী-খান

আদিত্য-অনন্যার বিচ্ছেদের খবরে তোলপাড় পুরো বলি দুনিয়া। গুঞ্জন শোনা যায় প্রায় দু’বছর সম্পর্কের পরে আলাদা হলেন এ জুটি।

যদিও দু’জনের কেউই প্রকাশ্যে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। তাদের একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সম্পর্কের গুঞ্জনে যেন সিলমোহর পড়ে। এরপরে অনুরাগ বসুর জন্মদিনের পার্টিতে সারা আলি খানের সঙ্গে আদিত্য রায় কাপূরের ছবি ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে।

‘কফি উইথ করণ’ শোতে র‍্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে অনন্যাকে হারিয়ে দেন সারা। এতে খানিকটা মুষড়ে পড়েন অনন্যা।

সারার উপহারের দিকে অনন্যা উঁকি দিলে, সারা তাকে বলেন “আমার উপহারে হাত দিলে আমি কিন্তু পাল্টা তোমার উপহারে হাত দেব!” এখানে আদিত্যকে উপহার সম্বোধন করেছেন সারা। আদিত্যকে নিয়ে নিজের অধিকার নিয়ে বরাবরই সচেতন অনন্যা।

বন্ধু সারাকে তিনি বলেন, এই ধরনের কাজ করার চেষ্টাও যেন না করেন তিনি। ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতে আদিত্যের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন সারা। অনন্যাকে আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিলেন সারা। মোদ্দা কথা, সারা বুঝিয়ে দিলেন অনন্যার উপহারের সঙ্গে ছবি করতে চলেছেন তিনি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিনোদন

শাহরুখ না কি সালমান, ফের কার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন প্রীতি?

Published

on

প্রীতি

পর্দায় ফিরলে কার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চান ডিম্পল কুইন প্রীতি জিন্টা! রাখঢাক না রেখে জানিয়েই দিলেন মনের কথা। তিনি বললেন, শাহরুখ-সালমানের সঙ্গে কাজ তিনি করতেই পারেন। তবে তাতে রয়েছে এক বিশেষ শর্ত। এই শর্ত পূরণ হলে তবেই ফিরবে ভির-জারা জুটি! জানেন কী সেই শর্ত?

দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবারও পর্দায় ফিরছেন ডিম্পল কুইন প্রীতি জিন্টা। সঙ্গী হবেন সানি দেওল, সৌজন্যে, ‘লাহোর ১৯৪৭’। স্বাভাবিকভাবেই প্রীতি জিন্টার হাতে এখন অনেক কাজ। একদিকে আইপিএল অন্যদিকে আসন্ন ছবি ‘লাহোর ১৯৪৭’-এর ব্যস্ততা।

কাজের ফাঁকে যে একটু বিশ্রাম নেবেন, সেই সময়টুকুও নেই তার হাতে। তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, ভক্তদের জন্য সময় তিনি বের করেই নেন। বেশ খোশমেজাজেই বসে পড়লেন আলাপচারিতায়।

স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহী হয়ে উঠেছিল ভক্তরাও। প্রিয় তারকাকে সামনে পেয়ে একটার পর একটা প্রশ্ন ছুঁড়তে থাকেন তারা। নায়িকাও বেশ খোশ মেজাজেই দিচ্ছিলেন উত্তর। বেশ‌ ভালোই জমে উঠেছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। আর সেই প্রশ্নোত্তর পর্বেই উঠে আসে শাহরুখ এবং সালমানের প্রসঙ্গ।

আসলে একটা সময় শাহরুখ এবং সালমানের সঙ্গে একাধিক ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন প্রীতি। সালমানের সঙ্গে প্রীতির জুটি এক সময় ভীষণ ভাবে চর্চিত ছিল। এককথায় বলিউডের আইকনিক জুটি ছিলেন তারা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কামব্যাকের পর আবার কি তাকে শাহরুখ বা সালমানের বিপরীতে দেখা যেতে পারে? ভক্তদের দাবি মেনে ‘ভির জারা’ জুটির নতুন ছবি আসবে কী? সম্প্রতি এমনটাই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিল ভক্তরা।

Advertisement

প্রীতির বলেন, ছবি তো হতেই পারে। তবে তারজন্য দরকার কেবল ভালো একটা চিত্রনাট্য। শাহরুখ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমরা খুব ভাল একটি চিত্রনাট্য পাব, যেখানে শুধু আমরা দু’জনই অভিনয় করতে পারব, তখনই একসঙ্গে কাজ করব। ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।’

এরপরেই এক অনুরাগী প্রশ্ন করেন, “পর্দায় আবার আপনাকে সালমান ভাইয়ের বিপরীতে দেখতে চাই। কোনও সম্ভাবনা আছে?” প্রীতি বলেন, “যদি চিত্রনাট্য ভাল হয়, সব সম্ভব”। অর্থাৎ একটা কথা স্পষ্ট যে, পরিচালক বা প্রযোজকরা চাইলেই পূরণ হতে পারে ভক্তদের ইচ্ছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it