অপরাধ
এক মাস আগের বাকবিতণ্ডার পর শাওনকে হত্যা করা হয়
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগে খুন হন মো. শাওন। এক মাস আগে স্থানীয় বাসিন্দা রজবের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির পর তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় শাওনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও একটি মোটরসাইকেল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মিজানুর রহমান ও তার সহযোগী মো. জুয়েল ওরফে জুয়েল রানা।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে মীর হাজিরবাগ এলাকায় শাওন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শাওনের ভাই বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে মিজান ও জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, শাওন টিকাটুলিতে একটি ট্রাভেলস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা তার পরিচিত এবং একই এলাকার বাসিন্দা। গত বছর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে শাওনের সঙ্গে রজবের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে গত মাসে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রজব তার বড় ভাই মিজানকে জানান। এরপর মিজানের নেতৃত্বে তারা শাওনকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার রাতে শাওন তার স্ত্রীর জন্য ওষুধ আনতে বাসা থেকে বের হন। এ সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মিজান মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে অবস্থান করেন। আসামি রজব হঠাৎ শাওনকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
তখন জুয়েল রাস্তার মোড়ে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। ভুক্তভোগী গুরুতর জখম হওয়ার পরও দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা আবারও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনার পরপরই মিজান ও জুয়েল মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
র্যাব দাবি করে, মিজান যাত্রাবাড়ী এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। তার নামে যাত্রাবাড়ী ও মীরহাজিরবাগ এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও মারামারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি শ্যামপুর এলাকায় তার আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। আর জুয়েল একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। তিনি মিজানের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও মারামারিতে জড়িত ছিলেন। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
অপরাধ
ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবক মিললো মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ
রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিমকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেলিমের পরনের শার্ট খুলে দেখা যায়, সেলিমের পেটে ডান পাশে বড় অস্ত্রোপচারের দাগ। দাগের বিষয়ে সেলিম কোনো উত্তর দেননি। শুধু ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এলাকাবাসী ভিড় করে তাকে দেখতে এসে কেউ কেউ বলছেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সেলিমের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি করা হয়েছে।
সেলিম (৪০) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
গেলো শুক্রবার সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। সেলিম এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে বাড়িতে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। সেলিম শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা গণমাধ্যমে বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
এএম/
অপরাধ
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ২০৫ পিস ইয়াবা, ৪০ গ্রাম হেরোইন, ১৩০ কেজি ৩৫০ গ্রাম গাঁজা ও ২৬ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১২টি মামলা রুজু হয়েছে।
কেএস/
অপরাধ
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
চাঁদপুরে যৌতুক না দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি নিহতের ঘাতক স্বামী ইব্রাহিম প্রধানিয়াকে (৩৮) যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বেনাপোল ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাটি স্পর্শকাতর ও হৃদয়বিদারক হওয়ায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
ইব্রাহিম প্রধানিয়া চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বকচর এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে। স্ত্রীকে হত্যার পর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বেনাপোল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন গণমাধ্যমে জানান, গেলো ১০ এপ্রিল চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২৩) শারীরিক নির্যাতনপূর্বক শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গৃহবধূর শাশুড়িকে মামলা রুজুর পরপরই গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অপরাধী ঘাতক স্বামী নিজেকে আত্মগোপন করেন। তবে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল অপরাধী ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সহযোগিতা চান। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত দেড়টার দিকে বেনাপোল ডিগ্রি কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী ইব্রাহিম প্রধানিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
অধিনায়ক আরও জানান, মামলা সূত্রে জানা যায় যে হত্যাকাণ্ডের শিকার গৃহবধূ খাদিজা আক্তারের সঙ্গে ইব্রাহিম প্রধানিয়ার পারিবারিকভাবে গত চার বছর পূর্বে বিয়ে হয় এবং তাদের পরিবারে দুইটি ছেলে সন্তান আছে। গেলো এক বছর যাবৎ স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার নিয়ে আসার জন্য তার স্বামী ও শাশুড়ি বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন এবং মাঝেমধ্যে শারীরিক নির্যাতন করতেন। কিন্তু গৃহবধূর বাবা হতদরিদ্র হওয়ায় ভুক্তভোগীর শ্বশুরবাড়িতে তাদের দাবিকৃত ফার্নিচার দিতে না পারায় গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করার ফলে এলাকায় স্থানীয় মেম্বার ও মুরব্বিদের নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক করা হয়।
সালিশি বৈঠকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি গৃহবধূর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার অঙ্গীকার করলেও পরবর্তীতে তারা আবারও বিভিন্ন অজুহাতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গেলো ঈদুল ফিতরের রাতে ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়িতে কোনো ধরনের বাজার না করার বিষয়কে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে নির্যাতন করেন এবং একপর্যায়ে বাড়িতে থাকা ডিজেল ওই গৃহবধূর শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভায়। কিন্তু ততক্ষণে তার প্রায় সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে যায়। পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসারত অবস্থায় ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে গৃহবধূ মারা যান।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং জানান গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য যশোরের বেনাপোল ডিগ্রি কলেজ এলাকায় বসবাসরত তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএম/
- এশিয়া9 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- টুকিটাকি13 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
- চট্টগ্রাম3 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন