গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটামোড় এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাবেশ করেছে সাঁওতালরা। এর আগে তাদের একটি বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা প্রদক্ষিণ করে। বাব-দাদার জমি ফেরত, তিনজন সাঁওতাল হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার-বিচার, সাঁওতাল-বাঙালিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এসব কর্মসুচি পালিত হয়। বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি) সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম শাখা এই কর্মসুচির আয়োজন করে।
গোবিন্দগঞ্জের কাটামোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ কমিউনিস্ট পার্টির বাগদা ফার্ম শাখার সাধারণ সম্পাদক গণেশ মুরমু। রাফায়েল হাসদার পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা সিপিবির সভাপতি মিহির ঘোষ, ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য প্রতিভা সরকার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সিপিবির সভাপতি তাজুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সিপিবি নেতা আল মামুন মোবারক, রেজাউর করিম, যুব ইউনিয়ন নেতা মিজানুর রহমান, রুমিলা কিছকু, বার্নাবাস প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাঁওতালদের বাব-দাদার কাছ থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর চিনিকলের আখ চাষের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আখ চাষ না হলে জমি মালিককে ফেরত দেওয়ার কথা।
তারা বলেন, সাওতালরা তাদের জমি ফেরতের আন্দোলন করতে গিয়ে তিনজন সাঁওতালকে হত্যা করা হয়েছে। এখনও হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। আন্দোলনকারী সাঁওতাল বাঙালিদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের জমিতেই কেন ইপিজেড করতে হবে। এটা সাঁওতালদের প্রতি চরম অন্যায় করছে সরকার। এর গভীর ষড়যন্ত্র আছে বলেও তারা দাবি করেন।
রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল কবির বলেন, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের জমিতে ইপিজেড নির্মাণ হলে দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এখানে সাঁওতালরা অগ্রাধিকার পাবে। চিনিকলের অধিগ্রহণ করা জমি ফেরত প্রদানের কোন নিয়ম নেই।
মুনিয়া
