Connect with us

লাইফস্টাইল

অটিজম নিয়ে বড়রা সতর্ক হলে শিশুদের কতটা সুবিধা হয়?

Avatar of author

Published

on

অটিজম

সুমাইয়ার ছেলের বয়স যখন ৩ বছর, তখন তিনি খেয়াল করলেন, সে কোনও কথাই বলতে পারছে না। অথচ ওর বয়সি অন্য শিশুরা এর মধ্যেই দিব্যি ‘বাবা-মা-দাদা’ ডাকছে। কেউ কেউ তো আবার ছোট ছোট শব্দে বকবকও করে যাচ্ছে অনায়াসে। কিন্তু রাইমার ছেলে কেমন চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। কথা বলা তো দূর। চিন্তার ভাঁজ রাইমার কপালে। এরই মধ্যে কেউ বলেছিল ‘স্পিচ থেরাপি’ করাতে, আবার কেউ ‘হিয়ারিং টেস্ট’ করানোর পরামর্শ দেন। কোনওটিই বাদ দেননি। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। শেষে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ছেলেকে। আর তখনই জানতে পারেন, তাঁর ছেলে ‘অটিস্টিক স্পেকট্রাম সিনড্রোম’-এর শিকার।

মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যার নাম অটিজম। ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজম দিবস’। সংবাদমাধ্যম হোক কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান— নানা জায়গাতেই এই দিনটি পালন করা হয়। সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে আয়োজিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচি।

একটা সময় ছিল যখন প্রাথমিক ভাবে বাচ্চার চোখ বা কানের পরীক্ষার কথা বললেই অনেক অভিভাবক তা মানতে পারতেন না। সন্তানের মধ্যে কোনও প্রতিবন্ধকতা আছে, তা মেনে নেয়া তো পরের কথা। খুদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ দেখেও অনেকেই মনে করতেন, বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। চারদিকে অটিজম নিয়ে এত প্রচারের ফলে কি ছবিটা আদৌ বদলেছে?

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ‘প্রদীপ’ নামের একটি স্কুল চালান মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরে অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ‘‘আগের তুলনায় অভিভাবকদের মধ্যে অটিজম নিয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। আগে শিশুদের অনেক বড় বয়সে এই সমস্যা ধরা পড়ত। তবে এখন শিশুদের ছোট বয়স থেকেই বাবা-মায়েরা সতর্ক হচ্ছেন। দুই-আড়াই বছর বয়সের শিশুরাও বাবা-মায়েদের হাত ধরে এখন আমাদের স্কুলে আসছে। আগে ৬ থেকে ৭ বছর বয়স পার করে যখন সন্তানের সমস্যা অত্যধিক ভাবে চোখে পড়ত, তখনই অভিভাবকরা সন্তানকে ‘স্পেশ্যাল স্কুল’-এ ভর্তি করানোর কথা ভাবতেন। ছবিটা এখন অনেকটাই বদলেছে। সচেতনতা না বাড়লে এমনটা সম্ভব হত না। কেবল আমাদের মতো সংস্থাই নয়, সরকারি স্তরেও অটিজম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনেক রকম কাজ হচ্ছে। সরকার অটিজম স্ক্রিনিং টুল তৈরি করেছে। আশাকর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলায় জেলায় শিশুদের উপর নজর রাখার জন্য। কোনও শিশুর এ রকম সমস্যা হলে কী ভাবে বাবা-মায়েরা তাদের সহায্য করবে, সে বিষয়ে জানাতে আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।’’

Advertisement

যত কম বয়সে শিশুদের এই সমস্যার কথা জানতে পারা যাবে, ততই তাড়াতাড়ি তাদের চিকিৎসা সম্ভব হবে। বাবা-মায়েরা কী ভাবে সতর্ক হবেন? মল্লিকা বলেন, ‘‘শিশুদের বৃদ্ধির একাধিক স্তর থাকে। দৈহিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক বৃদ্ধিও এমনই একটি স্তর। এ সময়ে শিশু মাকে দেখে হাসে, কোনও কিছুর দিকে আকার-ইঙ্গিতে নির্দেশ করে কিংবা শিশুর শব্দস্ফূরণ হয়। অর্থাৎ, সমাজে চলতে শেখার শুরু হয়। এই প্রক্রিয়াটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন না হওয়াই অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের লক্ষণ। কারও সঙ্গে মেলামেশা না করা, অনেক খেলনার মাঝেও কেবল একটি খেলনা নিয়ে খেলা, নতুন কিছুতে আগ্রহ না দেখানো, নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেয়া বা একটানা আপন মনে থাকার মতো কিছু লক্ষণ শিশুর মধ্যে দেখলেই সতর্ক হতে হবে। সব অটিস্টিক শিশুর সমস্যা এক রকম হয় না। তাই সমস্যা কতটা রয়েছে, তা বোঝা সবার আগে দরকার। সেই মতো কোন কোন থেরাপি ও ট্রেনিং চলবে, তা নির্ধারণ করি আমরা।’’

অটিস্টিক শিশুদের সাধারণ স্কুলে ভর্তি নেয়া হবে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলে বিস্তর। যে বাবা-মায়েরা খুদে অস্টিস্টিক জেনেও তাকে সাধারণ স্কুলে ভর্তি করাতে চান, তাদের সিদ্ধান্ত কি ঠিক?

মল্লিকা বলেন, ‘‘সব বাবা-মা চান যাতে তাদের সন্তান সাধারণ স্কুলে যেতে পারে। তবে আমি তাদের একটা কথাই বলব, আপনি আপনার মানসিক শান্তির জন্য তাকে স্কুলে পাঠাবেন, না কি তার কিসে উপকার হবে তার উপর গুরুত্ব দেবেন? খুদের যদি সেখানে ক্ষতি হয়, তা হলে কি সেটা মানতে পারবেন?’’

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

রেসিপি

রুই মাছের ডিমের কাবাব রেসিপি

Published

on

মাছের কাবাব তো অনেকেই খেয়েছেন। মাছের ডিম দিয়ে তৈরি কাবাব কি খেয়েছেন? মাছের ডিমের কাবাব! আজ ভিন্ন স্বাদের রুই মাছের ডিমের কাবাব তৈরির পদ্ধতি জানাবো। খুবই সহজ ও সুস্বাদু! তো চলুন, জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন মাছের ডিমের কাবাব।

উপকরণ

রুই মাছের ডিম- ৩ কাপ

পেঁয়াজ কুচি- ২ কাপ

কাঁচামরিচ কুচি- ৩ চা চামচ

Advertisement

চিলি ফ্লেকস- ১ চা চামচ

হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ

জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

কাবাব মসলা- ১/২ চা চামচ

লেবুর রস- সামান্য

Advertisement

লবণ- পরিমাণমতো

তেল– ভাজার জন্য

চালের গুঁড়া অথবা কর্ণফ্লাওয়ার- ১/২ কাপ

প্রস্তুত প্রণালী

১. প্রথমে একটি পাত্রে মাছের ডিমের সাথে একে একে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবো।

Advertisement

২. তারপর মাখানো মাছের ডিম কাবাবের শেইপ করে নিতে হবে।

৩. এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে কাবাবগুলো দিয়ে অল্প আঁচে বাদামী করে ভেজে নিবো।

৪. এরপর নামিয়ে গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন রুই মাছের ডিমের কাবাব।

এই কাবাব খেতে যেমন মজাদার, বানানোও খুব সহজ। তো আজই তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন ভিন্নধর্মী এই কাবাবটি।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

তাওয়া পোলাও রেসিপি

Published

on

ইন্ডিয়ান স্ট্রিট ফুডগুলোর মধ্যে তাওয়া পোলাও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। এই পোলাও রান্না করা হয় অনেক বড় একটি তাওয়ায় খুবই নিপুণতার সাথে, যার কারণে এটি মূলত তাওয়া পোলাও নামে পরিচিত। ঘরে বসেই যদি বানিয়ে নেয়া যায় এই মজাদার খাবারটি তাহলে খারাপ কি! চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।

তাওয়া পোলাও রান্নার উপকরণ

বাসমতী চাল- ১ কাপ

পেঁয়াজ কুঁচি- বড় ১ টি

টমেটো কুঁচি- ২ টি

Advertisement

ক্যাপসিকাম কুঁচি- ১ টি

সবুজ মটর- ১ কাপ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ টি

লবণ- স্বাদমত

চিনি- ১/২ চা চামচ

Advertisement

মাখন- ৪ টেবিল চামচ

ধনেপাতা কুঁচি

লাল শুকনো মরিচ- ৪০ টি

রসুন- ৫ কোয়া

লবণ- ৩ টেবিল চামচ

Advertisement

রান্নার প্রণালী

চুলোয় ২ কাপ পানি সিদ্ধ করে নিন। একটি বোলে মরিচ নিয়ে তাতে সিদ্ধ পানি দিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য। এবার পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে মরিচ ও রসুন একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজনমত পানি দিন মিহি পেস্ট তৈরি করার জন্য। হয়ে গেলে একটি বাটিতে নিয়ে তাতে লবণ মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে দিলে এটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

এবার আসি তাওয়া পোলাও রান্নায়-

১. বাসমতী চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর চাল রান্না করে নিন। রান্না করার সময় অল্প লবণ দিয়ে নিবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে ভাত ঝরঝরে হয়। হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে এক পাশে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।

২. একটি তাওয়ায় বাটার দিয়ে নিন। চিলি-গারলিক পেস্ট দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। তারপর পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, টমেটো দিয়ে দিন। সব একসাথে মিক্স করে রান্না করতে থাকুন।

Advertisement

৩. লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। মটর ও ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া দিয়ে দিন।

৪. সব শেষে রান্না করা ভাত দিয়ে দিন। ৫-৮ মিনিট রান্না করুন।

এবার হয়ে গেলো তাওয়া পোলাও। এটি যে কোন কারি দিয়ে বা এমনিতেই খেতে পারবেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

হাড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য শিশুর খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন

Published

on

সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন সব বাবা-মাই। শিশু কী খাবে, কতটা খাবে আর কখন খাবে- এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা নিয়ে তারা সারাক্ষণ অস্থির। শিশু রোজ যা যা খাচ্ছে, তার থেকে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছচ্ছে কি না এটি জানাও খুব জরুরি। বাড়ন্ত শিশুকে হাড়ের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য সুষম আহারই দিতে হবে। আর বিশেষ করে শিশুর খাদ্যতালিকায় রোজ ক্যালশিয়াম রাখতেই হবে। রোজ কোন কোন খাবার তালিকায় রাখলে শিশুর ক্যালশিয়ামের অভাব হবে না, তা জেনে নিন।

দুধ : সুষম আহারের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় দুধের কথা। এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপিকা সুর জানাচ্ছেন, দুধের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। শিশুকে রোজ নিয়ম করে দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে বা দুধ হজম না হয়, তা হলে পনির, দই, ছানা, মাখন এ সব রাখুন তার খাদ্যতালিকায়।

মটরশুঁটি : মটরশুঁটির দানায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। যা তার হাড়ের পুষ্টিতে বিশেষ সহায়ক। সাধারণত, শীতের সব্জি এটি, তাই শীতেই তার খাবারে মটরশুঁটি রাখতে হবে। ব্রোকোলিও তাই। অনেক শিশুই ব্রোকোলি খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ব্রোকোলি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিন। কয়েক টুকরো চিকেন সিদ্ধ দিয়ে দিন তাতে। অল্প করে মাখন দিয়ে গরম স্যুপ, সোনামুখ করে খেয়ে নেবে খুদে।

পিনাট বাটার : পিনাট বাটারেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম আছে। খেতে ততটা সুস্বাদু নয় বলে হয়তো শিশু খেতে চাইবে না। মায়েরা সে ক্ষেত্রে পাউরুটির মুচমুচে টোস্ট বানিয়ে তার মধ্যে পিনাট বাটার দিয়ে দিন। গরম আটার রুটি রোল করে ভেতরে পিনাট বাটার দিয়ে শিশুকে প্রাতরাশে দিন। সঙ্গে দিন ফ্রুট স্যালাড। ফল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নুন ও গোলমরিচ দিয়ে দিন। ফল এমন ভাবে সাজিয়ে দিন যে দেখেই খেতে চাইবে শিশু।

আমন্ড বাটার :  বাড়িতে আমন্ড বাটারও এনে রাখতে পারেন। সাদা মাখন না দিয়ে পাউরুটিতে আমন্ড বাটার মাখিয়ে দিন। আমন্ড বা কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালশিয়াম। ১/৩ কাপ কাঠবাদামে প্রায় ২৬৪ মিলিগ্রাম মতো ক্যালশিয়াম মেলে। সন্তানকে দুধের সঙ্গেও দিন কয়েক টুকরো কাঠবাদাম। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেলে উপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

Advertisement

মাছ : মাছে প্রচুর ক্যালশিয়াম আছে। শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হলে তার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন মাছ। কাতলা, ভেটকি, কই মাছে ভাল পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম কাতলা মাছ খেলে ৫৩০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে, ১০০ গ্রাম ভেটকিতে প্রায় ৪৮০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। ৫০ গ্রাম করে, অর্থাৎ দিনে দু’পিস মাছও যদি খুদে খায়, তা হলেও রোজের ক্যালশিয়ামের অনেকটাই পূরণ হবে।

ফলের রস : টাটকা ফলের রসও দিন শিশুকে। এক গ্লাস কমলালেবু বা মুসম্বির রস থেকে ৬০ মিলিগ্রামের মতো ক্যালশিয়াম পাওয়া যাবে। প্রাতরাশে যে দিন দুধ দেবেন না, সে দিন ফলের রস দিন। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাবার দিলে শিশুর অরুচি হবে না। মনে রাখতে হবে, শিশুকে একদম চা-কফি বা নরম পানীয় দেওয়া চলবে না। কারণ ক্যাফিন ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। তখন যতই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান না কেন, তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বেশি লবণ দেয়া খাবার, বেশি তেল ও মশলা দেওয়া খাবার শিশুকে দেয়া চলবে না।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত