আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

সাগর-রুনির তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে ৯৭ বার

সাগর-রুনির তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে ৯৭ বার
আবারও পেছানো হলো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। এ নিয়ে ৯৭ বারের মতো পেছানো হলো এ তারিখ। আগামী ২২ মে'র মধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত। রোববার (৯ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশিদুল আলম এ আদেশ দেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গেলো ৫ মার্চ  ৯৬ বারের মতো তারিখ নেয় র‌্যাব। সেদিন আদালত আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত শেষ করতে দেরি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন পৃথক দুটি আদালত। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজবাসায় খুন হন। সাগর-রুনি খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছর ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন— রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, আবু সাঈদ, ওই বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনামুল হক এবং সাগর-রুনির 'পারিবারিক বন্ধু' তানভীর রহমান। তাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে জেল থেকে বের হলেও বাকিরা এখনো কারাগারে আছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সাগররুনির | তদন্ত | প্রতিবেদন | পিছিয়েছে | ৯৭ | বার