Connect with us

লাইফস্টাইল

গরমে ত্বক, শরীরের যত্নে তরমুজ…

Avatar of author

Published

on

গরমে

জাঁকিয়ে গরম পড়ছে। শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই তাই ভরসা রাখছেন বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন ফলের উপর। তবে শুধু তো শরীর নয়, গ্রীষ্মে অত্যধিক আর্দ্র হয়ে যায় ত্বকও। তাই শরীর আর ত্বকের যত্ন একসঙ্গে নিতে ভরসা রাখতে পারেন তরমুজের উপর। তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপকারী উপাদান, যা ত্বকের প্রতিটি কোশ সচল এবং সজীব রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন ব্রণ দূর করতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজ দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন কয়েকটি প্যাক।

তরমুজ এবং টক দই

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে দু’টোই দারুণ উপকারী। তাই দই এবং তরমুজ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। ফেটানো টক দইয়ের মধ্যে তরমুজ আর অল্প মধু মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখলেই ত্বক হবে উজ্জ্বল।

তরমুজ এবং টমেটো

ত্বকের ছিদ্রমুখ থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তরমুজ যদি জুটি বাঁধে টমেটোর সঙ্গে তাহলে বাড়তি সুফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এই মিশ্রণ সত্যিই দারুণ কাজ করে। তরমুজের ক্বাথের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারে। কয়েক মুহূর্তে ত্বকে আসবে দারুণ জেল্লা।

Advertisement

তরমুজ এবং কলা

ত্বক ভাল রাখতে কলার ভূমিকা অনবদ্য। তরমুজ এবং কলা দুই-ই যদি ত্বকের যত্নে কাজে লাগান, সুফল পাবেন। এক কাপ তরমুজ এবং দু’টি পাকা কলা— একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। বাইরে থেকে ফিরে এই প্যাকটি ত্বকে মাখতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে টানটান এবং মসৃণ।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

পরামর্শ

কানের ব্যথায় কমবে ঘরোয়া উপায়েই, রইল সহজ টিপস

Published

on

কানের ব্যথা বড় কষ্ট দেয়। অল্প ঠান্ডা লাগলে, সামান্য বৃষ্টি হলে অথবা সর্দি-কাশিতে কফ জমলে কানে ব্যথা হবেই। অনেকেই ইয়ার বাড দিয়ে কানে খোঁচাখুঁচি করেন, তখনও ব্যথা হয়। কান থেকে ব্যথা মাথায় ছড়ায়। কানের যন্ত্রণায় যদি কষ্ট পান তাহলে চিন্তা নেই। উপায় আছে হাতের কাছেই। জেন নিন ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।

১. গরম সেঁক- কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথাতেও আরাম পাওয়া যায়। কান থেকে পুঁজ বেরোতে দেখলে গরম সেঁক নিন। তাতে কানের ভেতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথার বোধও কম হবে। গরমজলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর যে কানে ব্যথা, তার উপরে ভেজা কাপড়টা দিয়ে মিনিট দুই রাখুন। এর পর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন।

২. অলিভ তেল- কানে ব্যথা সারাতে ভাল কাজ করে অলিভ অয়েল। কানে ব্যথা করলে তিন থেকে চার ফোঁটা অলিভ ঢেলে দিন। অথবা অলিভ অয়েলে কটন বাড ভিজিয়ে কানের ফুটোয় চেপে রাখুন।

৩. রসুনের তেল- অল্প অলিভ তেলে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে তা সংক্রমিত কানে দু’তিন ফোঁটা দিন। বারকয়েক এমন করলে একটু আরাম পাবেন।

৪. আদার রস- আদা থেঁতো করে রস বের করে কানে ঢেলে দিন। সংক্রমণ কমবে। আরাম পাবেন। অথবা দুই টেবিল চামচ অলিভ তেলের সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। এই তেল কানে দিন।

Advertisement

৫. তুলসির রস- কয়েকটা তুলসি পাতা বেটে রস বের করে নিন। এই রস তিন থেকে চার ফোঁটা কানে ঢালুন। দিনে দু’বার করলেই ব্যথা অনেক কমে যাবে।

৬. পুদিনা পাতার রস- পুদিনা পাতার রস ড্রপারে করে নিয়ে কানে দিতে পারেন। অথবা পেপারমিন্ট অয়েল তুলোয় ভিজিয়ে কানের চারপাশে লাগান।

তবে সব টোটকা সকলের জন্য কার্যকরী না-ও হতে পারে। কোনও কিছু ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া ভাল। কানে যদি একটানা যন্ত্রণা হতে থাকে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

লাউ দিয়ে মুরগির মাংস, জেনে নিন রেসিপি

Published

on

গরমের এই সময়েও তো একটু ভালো-মন্দ খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু শুধু জিভের কথা ভাবলেই তো আর হলো না, পেটের খেয়ালও রাখতে হবে। তাহলে উপায়? একটু মুরগীর মাংস কী খাবেন না? হ্যাঁ, পেপে দিয়ে পাতলা ঝোল করতেই পারেন। কিন্তু সেই একঘেয়ে রান্না। একটু স্বাদবদল করুন। এবার একদিন লাউ দিয়ে মুরগীর মাংস রান্না করে ফেলুন। শুনতে আজব লাগলেও খেতে কিন্তু দারুণ। আবার পেটও থাকবে ঠান্ডা।

যা যা লাগবে

বড় বড় করে কাটা লাউ

হাড়-সহ মুরগির মাংস

তেল

Advertisement

পিঁয়াজ কুচি

লবণ

আদা বাটা

রসুন বাটা

হলুদ গুঁড়ো

Advertisement

মরিচ গুঁড়ো

ধনে গুঁড়ো

ভাজা জিরের গুঁড়ো

তেজপাতা

গরম মশলা

Advertisement

কাঁচা লঙ্কা

ধনেপাতা

যেভাবে রান্না করবেন

প্রথমেই লাউ কিউব করে কেটে ফেলবেন। মাংসের সঙ্গে যখন দিচ্ছেন, একটু বড় টুকরো করবেন। কেউ খোসা সুদ্ধ লাউ পছন্দ করেন, কারও আবার খোসা ছাড়িয়ে নেয়া লাউ পছন্দ। আপনার যেমন ভালো লাগে সেভাবে কেটে নেবেন। তা ধুয়ে এক সাইডে রেখে দিন। এবার কড়াই নিয়ে নিন। তাতে তেল গরম করে দিয়ে দিন কুচো করে কাটা পিঁয়াজ। দুটো তেজপাতাও দিয়ে দেবেন। এবারে আদা বাটা, রসুন বাটা, গরম মসলা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো আর নুন দিয়ে কষাতে থাকুন। টেস্ট ব্যালান্স করতে খুবই সামান্য চিনি দিতে পারেন।

একটা সময় কষা মশলা থেকে তেল বেরিয়ে আসতে থাকবে। আগে থেকে ধুয়ে রাখা মাংস দিয়ে দিন। একটু একটু করে ঢাকা দিয়ে কষাতে থাকুন। প্রয়োজনে একটু পানি দিতে পারেন। মাংস খুব বেশি শুকোতে শুরু করলে লাউয়ের টুকরোগুলো ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। এবারে মিনিট ১০-১৫ ঢাকা দিয়ে রাখুন। লাউ সিদ্ধ হবে আবার পানিও ছাড়বে। এবার তরকারির অবস্থা বুঝে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিন। ফুটতে দিন প্রায় ১৫ মিনিট। নামানোর ঠিক আগে বা আঁচ বন্ধ করে ফুটন্ত তরকারির উপর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। তার পর গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

যে কৌশলগুলি মেনে চললে খাবারের অপচয় বন্ধ করা যাবে

Published

on

অনেক বাড়িতেই খাবার প্রায়ই নষ্ট হয়। রান্না করার খাবার ছাড়াও অনেক সময় প্যাকেটজাত শুকনো খাবারও ফেলা যায়। অথচ খাদ্যের অপচয় রুখতে গোটা বিশ্বে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাই অকারণে খাবার যাতে অপচয় না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিকল্পনা। একটু পরিকল্পনামাফিক কেনাকাটা এবং রান্না করলে খাবার কম নষ্ট হবে।

প্রয়োজন বুঝে কিনুন

যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই খাদ্যসামগ্রী কিনুন। দরকার হতে পারে ভেবে একসঙ্গে কিনে রেখে লাভ নেই। তাতে জিনিসপত্র বেশি নষ্ট হবে। অনেক সময় খাবারের মেয়াদ ফুরিয়ে শেষ হয়ে যায়। তখন ফেলে দেয়া ছা়ড়া উপায় নেই। রান্নার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানতে হবে। বেশি করে রান্না করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মতো রান্না করুন।

পুরনো শেষ করে, নতুনে হাত দিন

মাসের শুরুতে নতুন মাসকাবারি জিনিসপত্র আসে। কিন্তু তখনও অনেক সময় পুরনো খাবারদাবার শেষ হয় না। সেগুলি আগে শেষ করে, তবেই নতুন প্যাকেট খুলুন। না হলে আগের কেনা খাবারগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হবে।

Advertisement

ধাপে ধাপে জিনিস কিনুন

শাকসব্জি হোক কিংবা মাছ-মাংস, কিংবা প্যাকেটজাত খাবার- সব কিছুই অল্প অল্প করে কিনুন। একসঙ্গে কিনে রাখা মানেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেটা করবেন না। কাঁচা শাকসব্জি, মাছ-মাংস ২-৩ দিনের বেশি মজুত করে রাখবেন না। দরকার পড়লে তখন আবার কিনে আনুন।

মৌসুমী খাবার খান

মৌসুম অনুযায়ী বাজারের চিত্রটি বদলে যায়। নানা রকম মৌসুমী ফল এবং সবজিতে বাজার ভরে ওঠে। সঙ্গে সারা বছর পাওয়া যায়, এমন অনেক জিনিসও থাকে। আবার নানা বিদেশি ফল, সবজিও দেখা মেলে। চেষ্টা করুন মৌসুমী খাবার খাওয়ার। তাতে খানিকটা সাশ্রয়ও হবে। আবার খাবার কিনলে বেশি দিন রাখলেও নষ্ট হবে না।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত