আর্কাইভ থেকে শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন

শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন
দেশের শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা ৯ কার্যদিবস প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে প্রায় হাজার কোটি টাকার ঘরে গেছে, যা এখন পর্যন্ত চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন। শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক এমন টানা বাড়া এবং লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসের ওপরে উঠে এসেছে। অবশ্য এরপরও এখনো দুইশ’র বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ঈদের পর চতুর্থ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে ঈদের পর এখন পর্যন্ত লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়লো। ঈদের আগে ও পরে মিলে টানা ৯ কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো। এদিন লেনদেনের শুরুতেই মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং ভালো লেনদেনের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেনের শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে আধাঘণ্টার মধ্যে ডিএসইতে পৌনে দুইশ কোটি টাকার লেনদেন হয়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া লেনদেনের এ গতি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে দাম বাড়ার প্রবণতা ধরে রাখতে পারেনি বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। এরপরও দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। এতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে কমেছে ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচক। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬২টির এবং ২১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ২৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিকে, দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২০২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় বাড়েনি, গত বছরের ৯ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেন বাড়াতে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে জেনেক্স ইনফোসিস। কোম্পানিটির ৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিনি সি ফুড, রূপালী লাইফ, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এবং আইটিসি। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৬৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শেয়ারবাজারে | বছরের | সর্বোচ্চ | লেনদেন