Connect with us

আন্তর্জাতিক

সৌদির মধ্যস্থতায় সুদানে লড়াইরত দুপক্ষের বৈঠক

Avatar of author

Published

on

সুদানে সৌদির মধ্যস্থতা

আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দেশ সুদানে লড়াইরত দুই পক্ষকে মীমাংসা বৈঠকে বসাতে সক্ষম হয়েছে সৌদি সরকার। সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়েই সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালোর দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াইয়ের সূত্রপাত। তবে সম্প্রতি তারা দুজনেই তাদের প্রতিনিধিদের রিয়াদে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (৭ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আরব নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার (৬ মে) থেকে তারা সেখানে সৌদি সরকারের মধ্যস্থতায় মুখোমুখি বসে কথা বলতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে গত তিন সপ্তাহে সুদানে প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েক লাখ মানুষ আশপাশের দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে।

কয়েক হাজার বিদেশী নাগরিককে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠিয়ে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। আফ্রিকার সাহেল এবং হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলটি এমনিতেই বহুদিন ধরেই যুদ্ধ-বিগ্রহে বিপর্যস্ত। সুদানের সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা আরো ভঙ্গুর হয়ে পড়বে বলে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

সুদানের এই লড়াইকে এরই মধ্যে অনেকেই পুরাদস্তুর গৃহযুদ্ধ বলে বর্ণনা করতে শুরু করেছেন। আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং সেই সঙ্গে পূর্ব এবং হর্ন অব আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইগাড শুরু থেকেই মীমাংসার চেষ্টা করছে। কিন্তু আফ্রিকার নতুন এই যুদ্ধ বন্ধে সবচেয়ে তৎপর হয়েছে সৌদি আরব।

Advertisement

অন্য সব পক্ষের তুলনায় সৌদির মধ্যস্থতার উদ্যোগ এক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। একদম শুরুতে ইগাড জোট মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। তারা দুপক্ষকে সাউথ সুদানের রাজধানীতে বসার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।

কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে সুদানের বিবাদমান দুই পক্ষই সৌদি আরবের মধ্যস্থতা নিয়ে আগ্রহী। কারণ সুদান ও সৌদি আরবের সম্পর্কের ঐতিহাসিক একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। এক অর্থে সুদান অনেকটাই ব্যতিক্রমী একটি দেশ। এটি আফ্রিকার দেশ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো এদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি, বিশেষ করে সৌদি আরব।

সুদান একই সঙ্গে সাহেল, হর্ন অব আফ্রিকা এবং লোহিত সাগর অঞ্চলের অংশ। কিন্তু তারপরও সুদানের সমাজ ও রাষ্ট্রের একটি বড় অংশের বিশেষ করে আরবি ভাষাভাষী সুদানি শাসক এবং অভিজাত শ্রেণীর সঙ্গে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বের প্রধান শরিক ছিল সুদান। বহু সুদানি সৈন্য এবং আরএনএফ মিলিশিয়া ইয়েমেনে যুদ্ধ করেছে। যে চারটি দেশের মধ্যস্থতায় গত বছর সুদানে সামরিক শাসন থেকে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে চুক্তি হয়েছে তাতে আফ্রিকার কোনো দেশ না থাকলেও রয়েছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সৌদি আরব এবং সেই সঙ্গে আরব আমিরাত মনে করে সুদানের নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সংস্কারের প্রকল্পটি তাদের। সুতরাং এই প্রকল্প ভেস্তে যাক সেটা তারা কোনোভাবে চায়না।

Advertisement

ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছাড়াও সুদানের সংঘাত নিয়ে সৌদি আরবের বিশেষ তৎপরতার পেছনে প্রধানত রয়েছে তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ। একই কথা আরব আমিরাতের বেলাতেও প্রযোজ্য।

কেন সৌদি সুদান নিয়ে এত উদ্বিগ্ন? সোজাসাপ্টা উত্তর হলো, এর পেছনে রয়েছে তাদের রাজনৈতিক, নিরাপত্তাজনিত স্বার্থ। সৌদি আরব বা আরব আমিরাত কোনোভাবেই চায়না সুদানে যাতে ইসলামপন্থী কোনো সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আরব বসন্ত অর্থাৎ গণবিক্ষোভের জেরে সরকার পতনের পর যেসব আরব দেশে নির্বাচন হয়েছে – যেমন মিশর, তিউনিসিয়া সব জায়গায় ইসলামপন্থীরা ক্ষমতা নিয়েছিল।

এতে ঘাবড়ে গিয়েছিল সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত এবং অভিযোগ রয়েছে সেসব সরকারের পতনের পেছন থেকে কাজ করেছে এই দুই দেশ। এ কারণে গণবিক্ষোভের ভেতর দিয়ে ওমর আল বশিরের পতনের পর সুদানে কোনো নির্বাচন হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে সৌদি আরব এবং আমিরাত নির্বাচনের বদলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন অনির্বাচিত সরকার বসাতে সক্ষম হয়।

হেমেডটির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের মাঝে জেনারেল বুরহান কিছুদিন আগে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচন দিয়ে দেবেন যেটা সৌদি এবং আমিরাতকে হয়তো উদ্বিগ্ন করে তুলছে। স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, এই লড়াইয়ে জেনারেল বুরহানের অনুগত বাহিনী হেমেডটির বাহিনীকে বেশ চাপে ফেলেছে।

ফলে সৌদি এবং আমিরাত হয়তো ভয় পাচ্ছে এই লড়াইয়ে যদি হেমেডটি হেরে যায় তাহলে জে বুরহান হয়তো নির্বাচন দিয়ে দেবেন এবং সেই নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা জিতবে। সামি হামদি মনে করেন, প্রধানত সে কারণে সৌদিরা মধ্যস্থতা করতে উঠেপড়ে লেগেছে যেন হেমেডটির আরএসএফ টিকে থাকতে পারে।

Advertisement

সুদান থেকে পাওয়া বিভিন্ন খবরেও বলা হচ্ছে আরএসএফ মিলিশিয়ারা লড়াইতে বেশ চাপে পড়েছে। রিয়াদে এই মীমাংসা বৈঠক আয়োজনের জন্য সৌদি আরব এবং আমেরিকাকে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছেন হেমেডটি।

তবে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, শুধু রাজনৈতিক বা কৌশলগত স্বার্থই নয়, সুদানের এই সংঘাতকে সৌদি আরব তাদের নিজেদের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্য হুমকি হিসেবে মনে করছে। কারণ, তেল সম্পদ ছাড়াই অর্থনৈতিক উন্নয়নের যেসব প্রকল্প ক্রাউন প্রিন্স মোহামেদ বিন সালমান নিয়েছেন তার অনেকগুলোই লোহিত সাগর উপকূল ঘেঁষে।

৫০০ বিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক শহর নিওম সিটিও সেখানে। এই এলাকা সুদানের লোহিত সাগর উপকূল থেকে বেশি দূরে নয়। এই মুহূর্তে সৌদি যেটা একেবারেই চায়না তা হলো লোহিত সাগরের উপকুলে আরেকটি সিরিয়া। সৌদির পররাষ্ট্রনীতির গবেষক আজিজ আলঘাসিয়ানকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষণাধর্মী সাময়িকী মিডল ইস্ট আই।

সৌদি ভয় পাচ্ছে সুদানের সংঘাত আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে লোহিত সাগর উপকূলে তাদের প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ আকর্ষণ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া ২০১৯ সালে বশিরের উৎখাতের পর প্রাকৃতিক সম্পদ এবং কৃষিতে সমৃদ্ধ সুদানে পা রাখার সুযোগ হয় সৌদি আরবের।

গত বছর তারা সুদানের কৃষি এবং খনিজ সম্পদ উন্নয়নে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতও তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইয়েমেনের সোকোটরা বন্দর থেকে হর্ন অব আফ্রিকার সোমালি-ল্যান্ড পর্যন্ত সাগরপথে বাণিজ্যিক নৌ পরিবহনের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে চাইছে তারা।

Advertisement

ডিসেম্বরে আবুধাবি বন্দর কর্তৃপক্ষ পোর্ট অব সুদানের ২০০ মাইল উত্তরে একটি নতুন বন্দর নির্মাণে ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের একটি চুক্তি করেছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আন্তর্জাতিক

নতুন নিয়ম, হজযাত্রীদের গায়ে বসছে ডিজিটাল ট্যাগ

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

আসছে হজ মৌসুমে এবার হজযাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। প্রত্যেক হজযাত্রীকে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে। মূলত বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে সৌদি সরকার এই অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া যাতে অবৈধভাবে কেউ হজ করতে না পারে তার জন্য বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে প্রত্যেককে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো।

সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে  ইন্দোনেশিয়ায় বৈধ হজযাত্রীদের জন্য এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদি আরবে যাওয়া হজযাত্রীদের প্রত্যেককে একটি করে ডিজিটাল নুসুক কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুত থাকবে এবং কেউ চাইলে এই ডিজিটাল কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করে হজের জন্য পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া, হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল কার্ড প্রদর্শন করতে হবে বলে সৌদি হজবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

Advertisement

সৌদি আরবের এই মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিজ নিজ দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ড সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবে। এ ছাড়া, স্থানীয় সৌদি হজযাত্রীরা দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। সৌদির হজ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটেও তুলে ধরা হয়েছে বিস্তারিত তথ্য।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত মাসের শেষ দিকে হজযাত্রীদের প্রতারণা থেকে বাঁচাতে অননুমোদিত হজ অপারেটর ও ভুয়া অ্যাপের ব্যাপারে সতর্ক করে সৌদি সরকার। পাশাপাশি দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করে।

চলবি বছরের রমজানে ওমরাহ যাত্রী অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ছিল। আবহাওয়া কিছুটা ঠাণ্ডা থাকায় লাখো মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। বিশাল সংখ্যক ওমরাহ যাত্রীর চাপ সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে সৌদি প্রশাসনের। তাই বাধ্য হয়ে সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছেন, রমজানে একবারের বেশি কেউ ওমরাহ পালন করতে পারবে না।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের অস্তিত্ব হাতে গোনা কয়েকদিন, হুমকি দিলো ইসরায়েল

Avatar of author

Published

on

সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ছবি-ইউএন ফটো

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করেই  ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখনও ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। কারও নিষেধও পরোয়া করছে না। এতো গেলো যুদ্ধের ময়দানের কথা। জাতিসংঘের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে কতটা সীমা ছাড়াতে পারে তার উদাহরণ হিসেবে হয়তো একদিন ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে ইসরায়েলের কথা। খোদ জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরদান বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সংস্থাটির স্থায়িত্ব নিয়ে।

নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলেও এই কথাটি হয়তো বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সও বলতে পারতো না। সেই কথাটি উচ্চস্বরে  বললেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ইউএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার বিষয় নিয়ে এক বিতর্কে অংশ নিয়ে সংস্থাটির কঠোর সমালোচনা করে ইসরায়েলি এ কূটনীতিক জানান, ‘জাতিসংঘের অস্তিত্ব আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন রয়েছে।’ এ সময় তার এই বক্তব্যকে মনে রাখার জন্য তাগিদও দেন এরদান।

ইসরায়েলি এই রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘অচিরেই বিশ্ব জেগে উঠবে আর জাতিসংঘের ডেকে আনা বিপর্যয় দেখতে পাবে। শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে জাতিসংঘের পতন নিয়ে পড়াশোনা করবে। তাদের পাঠসূচিতে থাকবে সংস্থাটির নৈতিক অধঃপতন ও অন্ধত্ব বিষয়ক অধ্যায়।

গিলাদ এরদান আরও বলেন, খুব শিঘ্রই নতুন একটি বৈশ্বিক সংস্থা গড়ে উঠবে যেখানে থাকবে  শক্তিশালী নৈতিক ভিত্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। সেখানে থাকবে না সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেওয়ার কোনো ইচ্ছা।

Advertisement

জাতিসংঘের বক্তব্যের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি এ কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের অস্তিত্ব আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন রয়েছে। তার এই বক্তব্য জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রগুলোকে মনে রাখার অহবানও জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি এই রাষ্ট্রদূত।

এমআর

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

Avatar of author

Published

on

ভারতের-তামিলনাড়ুর-দেবঙ্গ-আর্ট-কলেজের-সাবেক-সহকারী-অধ্যাপক-নির্মলা-দেবী

পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে হলে তার সঙ্গে রাখতে হবে যৌন সম্পর্ক। উপরি হিসেবে পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের অর্থও। যখনই তিনি ডাকবেন, ছুটে যেতে হবে। পূরণ করতে হবে তার মনোবাসনা। শিক্ষার্থীদের এমন বাজে প্রস্তাব দিতেন এই নারী শিক্ষিকা। ঘটনাটি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তামিলনাড়ুর দেবঙ্গ আর্ট কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক নির্মলা দেবীর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন এই সহকারী অধ্যাপক। চাপের মুখে তাকে বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মুখোমুখি করা হয় বিচারের।

ছয় বছর আগের এই যৌন কেলেঙ্কারিটি প্রকাশ্যে আসতেই তামিলনাড়ুসহ গোটা ভারতে সৃষ্টি হয়েছিল আলোড়ন। দীর্ঘ শুনানির পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সেই শিক্ষিকাকে দেয়া হয়েছে ১০ বছরের কারাদণ্ড। সঙ্গে করা হয়েছে আর্থিক জরিমানাও।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর! ৬ বছর আগের সেই যৌন কেলেঙ্কারির মামলায় শুনানি শেষ করে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তামিলনাড়ুর একটি মহিলা আদালত নির্মলা দেবীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরে আদালত নির্মলা দেবীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। জরিমানা করেন প্রায় আড়াই লাখ রুপি।  অভিযুক্ত শিক্ষিকা তামিলনাড়ুর মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দেবঙ্গ আর্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

Advertisement

ভারতে তোলপাড় ফেলে দেয়া এ ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৮ সালের এপ্রিলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সময় একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছিল। তাতে তৎকালীন অধ্যাপক নির্মলা দেবীর সঙ্গে কলেজছাত্রীদের কথাবার্তা ভাইরাল হয়।

অডিও টেপে বলতে শোনা যায়— বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের বদলে পরীক্ষায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর পাওয়া যাবে। আর সেই সঙ্গে অর্থও পাওয়া যাবে। কলেজছাত্রীদের নির্মলা দেবী সেই প্রস্তাব দিলেও অবশ্য তারা রাজি হননি।

এই নিয়ে নির্মলার বিরুদ্ধে সেই সময় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চার ছাত্রী। যদিও নির্মলা সেই সময় এই কথা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় তামিলনাড়ুতে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আইন-বিচার2 hours ago

মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে

মিরপুর মডেল থানার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির...

চাল চাল
জাতীয়3 hours ago

চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

চাউলের যে পুষ্টিগুন থাকে অতিরিক্ত ছাঁটাইয়ে ও পলিশ কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে...

সাবেক-অ্যাটর্নি-জেনারেল-এ-জে-মোহাম্মদ-আলী সাবেক-অ্যাটর্নি-জেনারেল-এ-জে-মোহাম্মদ-আলী
আইন-বিচার3 hours ago

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা...

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর
জাতীয়4 hours ago

প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেই দায়িত্ব থেকে বাদ : ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচনে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী অভিযোগ করলেই প্রমাণ ছাড়াই তাকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া হবে।অ...

ড.-ইউনুস ড.-ইউনুস
আইন-বিচার5 hours ago

আমাকে নাকি পদ্মায় ফেলে চুবানো হবে: ড. ইউনূস

আমি নাকি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছি। আমাকে নাকি পদ্মায় ফেলে চুবানো হবে। এরকম অনেক কটু কথা বড় বড় প্রোগ্রামে...

ডিবি-হারুন,-মিল্টন ডিবি-হারুন,-মিল্টন
অপরাধ5 hours ago

রিমান্ডে নিয়ে মিল্টনের সব অপকর্ম বের করবো: হারুন

মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। মামলায়...

মাদকবিরোধী মাদকবিরোধী
অপরাধ6 hours ago

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১ 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...

জাতীয়6 hours ago

জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকব : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে, যাতে নির্বাচনটা না হয়। আমার শক্তি দেশের জনগণ। জনগণের শক্তির ওপর আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি...

আদালতে-ড.-ইউনূস আদালতে-ড.-ইউনূস
আইন-বিচার6 hours ago

ড. ইউনূসসহ ১৪ আসামির জামিন মঞ্জুর

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের...

জাতীয়6 hours ago

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, ও সহকর্মীবৃন্দ। আসসালামু আলাইকুম! শুভ সকাল! থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এর আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে এবং...

Advertisement
ঢালিউড3 mins ago

শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী

ক্রিকেট19 mins ago

ভারতকে ১১৮ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক20 mins ago

নতুন নিয়ম, হজযাত্রীদের গায়ে বসছে ডিজিটাল ট্যাগ

শয়তানের-চোখ
টুকিটাকি26 mins ago

ফ্যাশনে মোড় ঘুরিয়েছে ‘শয়তানের চোখ’

বিনোদন32 mins ago

যশ নয়, নিখিলও নয়, নুসরাতের বুকে কার নাম লেখা

চট্টগ্রাম38 mins ago

বজ্রপাতে ২ লবণ শ্রমিকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক59 mins ago

জাতিসংঘের অস্তিত্ব হাতে গোনা কয়েকদিন, হুমকি দিলো ইসরায়েল

আত্মহত্যা
বরিশাল1 hour ago

পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে ছাড়াই ৩ মাস সংসার, অতঃপর আত্মহত্যা

ক্রিকেট2 hours ago

ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

পরামর্শ2 hours ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত