সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স রেকর্ড বার্ষিক মুনাফা অর্জন করায় কর্মীদের প্রায় আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলেই বিভিন্ন গন্তব্যে ১৭ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে সংস্থাটি। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশের বেশি।
দেশটির এই এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র কর্মীদের বোনাস দেয়ার তথ্য জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
তিনি বলেছেন, এয়ারলাইন্সের যোগ্য কর্মীদের ৬ দশমিক ৬৫ মাসের বেতনের সমান মুনাফা দেওয়া হবে। এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির সময় তাদের কঠোর পরিশ্রম আর ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ আরও দেড় মাসের বোনাস প্রদান করা হবে। তবে সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকরা অতিরিক্ত এই বোনাস পাবেন না।
মুখপাত্র বলেছেন, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের কর্মীদের বোনাস দেয়ার এই সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের বার্ষিক মুনাফা-বন্টন বোনাস কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে নেয়া হয়েছে। আমাদের স্টাফ ইউনিয়নও এই বোনাসের সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছে।
গেলো মঙ্গলবার এই নগর রাষ্ট্রের সরকারি পতাকাবাহী বিমানসংস্থাটি গেলো তিন বছর ধরে ব্যবসায় টানা লোকসানের পর (৩১ মার্চ) শেষ হওয়া অর্থবছরে ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের কথা জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বলেছে, প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ক্ষেত্রে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীসেবা বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও এর বাজেট বিমানসংস্থা স্কুট গেলো বছর ২ কোটি ৬৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরের ১২ মাসের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে যাত্রী পরিবহনের এই সংখ্যা ছয় গুণেরও বেশি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ের তুলনায় গেলো বছরে এই দুই বিমান সংস্থার যাত্রী পরিবহন প্রায় ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। সিঙ্গাপুরের এই বিমানসংস্থার রেকর্ড মুনাফা লাভের বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস এয়ারলাইন্সের মতোই হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অস্ট্রেলিয়ার এই বিমানসংস্থাও রেকর্ড মুনাফা অর্জনের তথ্য জানিয়েছিল। তবে সেই সময় মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং যাত্রী পরিবহনে বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিযোগিতা সম্পর্কে সতর্ক করে দেয় কান্তাস।
