আন্তর্জাতিক
এমপির পদ থেকেও সরে দাঁড়ালেন জনসন
করোনা লকডাউনের সময় বিধি ভঙ্গ করে মদ-পার্টি আয়োজনের ঘটনায় সৃষ্ট বিতর্কের জেরে এবার এমপির পদও ছেড়েছেন বরিস জনসন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা যুক্তরাজ্যে। তার আগে এই পদত্যাগ দেশটিতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আরও একবার জনসম্মুখে স্পষ্ট হলো।
শুক্রবারের বিবৃতিতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। ব্রিটেনের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কিছু মুষ্টিমেয় লোকের কারণে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে— সেসবের পক্ষে কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।’
২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় যুক্তরাজ্যজুড়ে লকডাউন জারি ছিল। ওই সময় দেশটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, বার প্রভৃতি বন্ধ রাখাসহ সামাজিক মেলামেশায় কঠোরভাবে নিষেধ ছিল এবং লকডাউনের বিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্কবার্তাও দেয়া হয়েছিল এ সম্পর্কিত সরকারি আদেশে।
কিন্তু ২০২১ সালের শেষের দিকে অভিযোগ ওঠে— লকডাউনের ওই সময় লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিকবার নিজের বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীসহ মদ-পার্টি উপভোগ করেছেন। পুলিশি তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা মেলার পর এটি পরিচিতি পায় ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’নামে এবং এই কেলেঙ্কারির জেরে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন।
যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে বরিস জনসনই প্রথম প্রধানমন্ত্রী— যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ উঠেছে এবং তার জেরে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে।
গেলো মে মাসে নতুন একটি অভিযোগ আগে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে। সেই অভিযোগের তথ্য অনুযায়ী, কেবল ডাউনিং স্ট্রিটেই নয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে যেসব প্রধানমন্ত্রীর যেসব বাসভবন আছে, যেগুলো সরকারিভাবে ‘চেকার’ নামে পরিচিত— সেসব চেকারেও মহামারির সময় ‘পার্টি’ করেছেন জনসন ও তার বন্ধুরা।
ব্রিটেনের পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে এ সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর তা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে পার্লামেন্ট এবং সম্প্রতি তাকে একটি গোপন (কনফিডেনশিয়াল) চিঠিও দিয়েছে পার্লামেন্ট।
চিঠিতে কী লেখা ছিল— সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি, তবে শুক্রবারের বিবৃতিতে জনসন অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট যে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে— তা পুরোপুরি ‘রাজনৈতিক’ এবং পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা তদন্তের নামে একটি ‘ক্যাঙ্গারু আদালত’ গঠন করেছেন, যার প্রধান উদ্দেশ্য তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়া।
ব্রিটেনের কোনো এমপির বিরুদ্ধে যদি শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ ওঠে— সেক্ষেত্রে দেশটির পার্লামেন্ট সেই এমপিকে অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে পারে। যদি কোনো এমপিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়— সেক্ষেত্রে ওই এমপি আর কখনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।
ধারণা করা হচ্ছে, পার্লামেন্ট কমিটি জনসনকে যে চিঠিটি দিয়েছিল— সেখানে এই সতকর্ববার্তা ছিল। এ কারণে আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স
আন্তর্জাতিক
৩৭ চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকার তৈরি উপকরণ দিয়ে নজরদারি বেলুন ও ড্রোন তৈরির অভিযোগে চীনের ৩৭টি কোম্পানিকে গেলো শুক্রবার কালো তালিকাভুক্ত করেছে ওয়াশিংটন। খবর- রেডিও ফ্রি এশিয়া
৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টি মার্কিন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি খাতের সহযোগিতা নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করেছে। ১১টি নজরদারি বেলুন বানানো আর বাকি চারটি প্রতিষ্ঠান মানববিহীন ড্রোন বানানোর কারণে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান আবার ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য কিছু সামগ্রী সরবারহ করেছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর এ পর্যন্ত ৩৫৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এনএস/
আন্তর্জাতিক
যে ট্রেনে প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ যানবাহন নিয়ে ভ্রমণ করা যায়
মনে করুন, আপনি দূরের কোনো এলাকায় কাজে বা বেড়াতে যাচ্ছেন। আর গন্তব্যস্থানে পৌঁছতে আপনি ট্রেন ভ্রমনকে বেছে নেবেন।পরবর্তীতে আপনার মনে হলো-ট্রেনে যদি মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কার বা মোটরবাইক অথবা অন্য কোনো যানবাহন আপনি নিতে পারতেন। তাহলে কী মজাই না হতো।
হ্যা, বর্তমান আধুনিক সভ্যতার যুগে এটাও সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমনই ট্রেন চালু হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র ট্রেন যাতে ভ্রমণ করার পাশাপাশি আপনার প্রিয় গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহনকে সঙ্গে নিতে পারবেন। এই বিশেষ ট্রেনকে বলা হয় অটো ট্রেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেলরোড প্যাসেঞ্জার করপোরেশন-আমট্রাক পরিচালিত এই ট্রেনে আপনার সঙ্গে থাকা যানবাহনটিকে নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এই ট্রেনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- বাইরে থেকে কোনো ব্যক্তি বুঝতেই পারবেন না যে ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের গাড়ি আছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি টু অরল্যান্ডো রুটে এই অটোট্রেন চলাচল করছে। বিরামহীন যাত্রায় এই অটোট্রেনটির ওয়াশিংটন থেকে অরল্যান্ডো পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ১৭ ঘণ্টা।
কয়েক বছর ধরে অটো ট্রেনের চাহিদা বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরণের রুট মাত্র একটি। ১৯৭১ সালের আগে এই অটো ট্রেনের অস্তিত্ব ছিল না। ওই বছরই মার্কিন বিজ্ঞানী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্টিফিক ইনফরমেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন গারফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রে এই বিশেষ ট্রেন আবিষ্কার ও চালু করেন।
ওইসময় ওয়াশিংটন ডিসির লরটন থেকে অরল্যান্ডো রাজ্যের সানফোর্ডে দৈনিক এই অটোট্রেন ব্যবস্থা চালু ছিলো। গারফিল্ডের অটো-ট্রেন এতটাই জনপ্রিয় ছিল লুইসভিল থেকে সানফোর্ড পর্যন্ত দ্বিতীয় লাইনের পরিষেবা শুরু করে। তবে ১৯৮১ সালের মধ্যে ওই রুটে অটো-ট্রেন কর্পোরেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
স্লিপিং কোচ, ডাইনিংসহ অত্যাধুণিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরণের ট্রেনের একটি মাত্র রুট থাকায় যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বছরে মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার যাত্রী এই ট্রেন সেবা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হলেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। চীন যেখানে ২০০৮ সাল থেকে প্রায় ৪২ হাজার কিলোমিটার উচ্চগতির ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইন নির্মাণ করেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে। ১০০ মাইলের বেশি গতিতে চলাচলের মতো তাদের মাত্র ৩৭৫ মাইল দীর্ঘ রেল লাইন রয়েছে।
১৯৭০–এর দশকে নিউইয়র্ক সেন্ট্রালের মতো বিখ্যাত রেল পরিবহন দেউলিয়া হয়ে যায়। ফলে ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা আমট্রাকের কাছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে হস্তান্তর করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রেলপথ উন্নয়নে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বা এক লাখ ২০ হাজা্র কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্যে বোস্টন, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সংযোগকারী অটো ট্রেনের রুট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের রেল খাতে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটবে।
এমআর//
আন্তর্জাতিক
বাইডেনের হুমকি সত্ত্বেও অস্ত্র পাবে ইসরাইল
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বরাদ্দ পাচ্ছে ইসরাইল। একজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা এই সপ্তাহে জানায়, ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হবে এমন একটি অস্ত্রের চালান যা দিয়ে রাফায় হামলা চালানো হতে পারে- তা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গভীরভাবে খতিয়ে দেখেছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি অভিমুখী অস্ত্রের একটি চালান আটকে দেয় বাইডেন প্রশাসন। খবর- ডেইলি সাবাহ
ওয়াশিংটন অনেকদিন ধরে নেতানিয়াহু সরকারকে বলছে, ইসরাইল যেন সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া রাফায় হামলা না চালায়।
তবে মার্কিন এই অস্ত্রের চালান সরবরাহ স্থগিত হলেও কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সদস্য সেন জিম রিশ বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের মার্কিন অস্ত্র ইসরাইলে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে যৌথ প্রত্যক্ষ আক্রমণ যুদ্ধাস্ত্র, ট্যাংক রাউন্ড, মর্টার ও সাঁজোয়া যান। এসব অস্ত্রের অর্থমূল্য শত শত কোটি মার্কিন ডলার।
রাফায় ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। দখল করেছে সেখানে থাকা একটি সীমান্ত ক্রসিং। শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে অনেক ফিলিস্তিনি।
গেলো বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল গাজায় শুরু করে পালটা হামলা। হামলায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি।
এনএস/
- এশিয়া10 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- টুকিটাকি13 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক4 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
- চট্টগ্রাম3 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন