আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

তলিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলের ৩ শতাধিক চর

তলিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলের ৩ শতাধিক চর
নদীবহুল উত্তরাঞ্চলের ৩ শতাধিক চর এখন পানির নিচে। কুড়িগ্রামে পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ১২ হাজার পরিবার। দেখা দিয়েছে ভাঙনও। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন বাসিন্দারা। তবে দুধকুমার ও তিস্তায় পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে বইছে। স্থিতিশীল রয়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ অন্যান্য নদ-নদী। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অথৈ পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়ি। বানের জলে গৃহহীন শত শত পরিবার। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত থেকে কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও এখনও পানিবন্দি জেলার প্রায় ১২ হাজার পরিবার। চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার সবজি ও ফসলের ক্ষেত পানির নিচে। ঘরবাড়ি পানিতে থাকায় পাশের উঁচু রাস্তায় অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে থাকছে অনেক পরিবার। ৫ দিন ধরে খাবারপানিসহ নানা দুর্ভোগে দিন কাটলেও মেলেনি কোনো সহায়তা। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব বালাডোবার চরের স্থানীয়রা জানান, চরটি নতুন এবং নিচু হওয়ায় এখানকার বেশির ভাগ ঘর বাড়িতে কোমরসমান পানি উঠেছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গা ও নৌকায় বসবাস করছেন। নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় ঠিকমতো পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিকমতো রান্না করতে না পারায় অনেককের একবেলা খেয়েই দিন পার করতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও সড়ক তলিয়ে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানির চাপে ভাঙন ধরেছে নদী পাড়েও। তবে শুধু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। যদি আর বৃষ্টি না হয় তবে খুব দ্রুতই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। যেখানে যখন প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে এদিকে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট থেকে এরই মধ্যে নেমে গেছে পানি। কয়েকদিনের দুর্বিষহ জীবনে মুক্তি পেয়ে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ভারতের পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়ায় এখনও অনেক মানুষ ভোগান্তিতে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তলিয়ে | গেছে | উত্তরাঞ্চলের | ৩ | শতাধিক | চর