ধর্ম
হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন যারা
আগামী ২৭ জুন আরাফা ময়দানে অবস্থান করবেন হাজিরা। সেদিন ২০ লাখের বেশি হাজির উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ।
বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষের কাছে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী পৌঁছে দিতে ২০টির বেশি ভাষায় হজের খুতবা সম্প্রচার করা হবে। এসব কাজের তত্ত্বাবধান করছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ।
এই ২০ ভাষার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। বাংলাভাষাভাষীদের জন্য হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
২০২০ ও ২০২১ সালে হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী। মূলত তার মাধ্যমেই খুতবার বাংলা অনুবাদ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রায়ই তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবার অনুবাদ করে থাকেন। তার বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত। ১৯৯৮ সালে তিনি তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে তাফসির বিভাগে কামিল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন।
গত বছর খুতবার অনুবাদক সহযোগী হিসেবে ছিলেন ড. খলীলুর রহমান। খলীলুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার শাসনগাছায়। সম্প্রতি তিনি পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কামিল বিভাগে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তী সময়ে নওগাঁ কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুবিনুর রহমান ফারুকের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলায়। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত আছেন। অপর অনুবাদক নাজমুস সাকিব একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি রাজধানীর জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন।
ইসলাম
জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে
বাংলাদেশের আকাশে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামীকাল (১০ মে) শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।
আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহূল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ
ধর্ম
সৌদি আরবে পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট
বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট (BG-3301) ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছে। এসময়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হজযাত্রীদের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস,কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলেও আশ্বাস দেন।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল-খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময়ে বাংলাদেশি হজযাত্রীগণ বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আই/এ
ঢাকা
বৃষ্টির জন্য মুন্সিগঞ্জে ইসতিসকার নামাজ আদায়
টানা তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে মুন্সিগঞ্জের ধীপুর ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামে নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বাড়ইপাড়া গ্রামসহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের লোক এ নামাজ আদায় করেন।
নামাজের আগে নসিহতপূর্ণ বক্তব্য ও দুই রাকাত ইসতিসকা নামাজ আদায় শেষে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে ও অনুগ্রহ লাভের জন্য দুহাত তুলে মোনাজাতে কান্নাকাটিও করেন মুসল্লিরা।
মুসল্লিরা নামাজ শেষে জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে মানুষ, পশুপাখিসহ সবাই খুব কষ্টে আছে। প্রিয়নবী (সা.) অনাবৃষ্টির কারণে লোকদেরকে নিয়ে মাঠে বেরিয়ে যেতেন এবং ইসতিসকা নামাজ আদায় করতেন। আজকে সেই ধারাবাহিকতায় বৃষ্টির আশায় নামাজ পড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা করলেন তাঁরা।
আই/এ
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন