আবারও ব্যর্থ মোহাম্মদ নাঈম শেখ! শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৫ বল খেলে ২১ রান করেই ফিরলেন এই ওপেনার।
শানাকার শর্ট বল বুঝেই উঠতে পারেননি নাঈম। ব্যাট সরিয়েও নিতে পারেননি, শেষ মুহূর্তে ব্যাট চালাতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছেন ক্যাচ।
তাঁর আগে মেহেদী হাসান মিরাজও প্রায় একই ভাবে শানাকার বলেই ফেরেন। আউট হওয়ার আগে মিরাজ করেন ২৯ বলে ২৮ রান। ১৩.৪ ওভার শেষে ৬৬ রানেই দুই ওপেনারকে হারালো বাংলাদেশ।
নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেছেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান সাকিব আল হাসান। ষষ্ঠ ওভারে এসে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এই পেসারের বলে উইকেটের পিছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে। বিদায়ের আগে ১৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন কুশল মেন্ডিস। নিশাঙ্কাকে নিয়ে দলীয় শতকও ছাড়িয়ে যান তিনি। তবে সেই সময় জোড়া আঘাতে দুজনকেই বিদায় করেন শরিফুল ইসলাম।
এরপর ২৩ বলে ১০ রান করা চারিথ আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। আসালাঙ্কা দ্রুত ফেরার পর টিকতে পারেননি ধানাঞ্জয়া ডি সিলভাও, ১৬ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি।
তারপর দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে আগাতে থাকেন সামাবিক্রমা। ২৪ রান করে শানাকা বোল্ড হয়ে ফিরলেও ঝড় তোলেন সামাবিক্রমা। তাঁর ৭২ বলে ৯৩ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কাকে পৌঁছে দেয় ২৫৭ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন। আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম নেন ২টি উইকেট।
