সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা মাদ্রাসার ছাত্রীকে কবিরপুর গ্রামের ভণ্ড কবিরাজ শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা যায়, গেলো মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে কবিরপুর গ্রামে চিকিৎসা নামে এক ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড কবিরাজ শহিদ মিয়া (৩৫)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাহমুদ মিয়ার মেয়ের একটি মোবাইল চুরি হয়। মোবাইল বের করার জন্য ঘটনার দিন দুপুরে ভণ্ড কবিরাজ শহিদের বাড়ি যায়, তখন শহিদ মেয়ের মা ও ছোট বোন কে বলে পাঁচটি জবা ফুল ও গোলাপ জল নিয়ে আসর জন্য যায়, কবিরাজের কথা মতে মেয়েকে রেখে জবা ফুল ও গোলাপ জল আনতে জান ভুক্তভোগীর মা। ভণ্ড কবিরাজ তাদেরকে আশ্বস্ত করে তার মোবাইল বের করে দিবে।অভিযুক্ত শহিদ মিয়ার এক পর্যায়ে মেয়েটির উপর কু-দৃষ্টি পড়ে। এর মধ্যেই কবিরাজ বিভিন্ন কৌশলে মেয়েটির সঙ্গে জোরাজোরি করে জিম্মি করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মেয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে সব কথা খুলে বলে। পরে মেয়ের বাবা মাহমুদ মিয়া থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে (ওসি) তদন্ত সুশংকর পাল ঘটনাস্থলে গিয়ে ভণ্ড কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ অবস্থায় মেয়ের বাবা মাহমুদ মিয়া বাদী হয়ে ভণ্ড পিরের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষণ মামলার অভিযোগ করেন।
এ বিষয় ভুক্তভোগীর মা জায়েদা বেগম জানান, আমার মেয়ে ভয়ে মুখ খুলেনি। বাড়িতে এসে মেয়ে বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই ভণ্ড কবিরাজ। আমার মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযুক্তের বাবা মাহমুদ আলী বলেন, ভণ্ড পীর আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এএম
