আন্তর্জাতিক

গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েই মঙ্গোলিয়ায় পুতিন, লাল গালিচা সংবর্ধনা

বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট উখনাগিন খুরেলসুখ ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই মঙ্গোলিয়ায় পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে পা রাখেন রুশ প্রেসিডেন্ট।  উলানবাটোর বিমানবন্দরে নামার পরই মঙ্গোলিয়া নেতা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন।

গত বছর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এবারই প্রথম আইসিসির কোনো সদস্য দেশ সফরে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর চেঙ্গিস খান স্কয়ারে পুতিনকে স্বাগত জানাতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে উপস্থিত ছিল সারি সারি সেনা। বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে সেখানে রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার পতাকা উত্তোলন করা হয় । লাইভ ব্যান্ডে বাজানো হয় সামরিক স্তবসঙ্গীত। ফুল দিয়ে পুতিনকে স্বাগত জানায় ছোট্ট এক বালিকা।

ইউক্রেইনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আইসিসি-র এই আদেশ কেবল সেসব দেশের জন্যই প্রযোজ্য, যারা এ আন্তর্জাতিক আদালত গঠনের জন্য চুক্তি ‘রোম সংবিধিতে’ সই করেছিল। এর অর্থ দাঁড়ায়, পুতিনকে গ্রেপ্তার করে হেগ আদালতে বিচারের জন্য প্রত্যর্পণের বাধ্যবাধকতা আছে আইসিসি’র ১২৪ টি সদস্য দেশের।

আইসিসি’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া। তবে তারা আদালতের আদেশ না মানলে সেটি মানানোর কোনও ব্যবস্থা নেই।

এদিকে, পুতিনের মঙ্গোলিয়া সফর নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে কিয়েভ। মঙ্গোলিয়ার পুতিনকে গ্রেপ্তার না করাটা খোদ ‘আইসিসি এবং ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থার জন্য বড় ধাক্কা’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘মঙ্গোলিয়া একজন অভিযুক্ত অপরাধীকে ন্যায়বিচার এড়ানোর সুযোগ করে দিয়ে যুদ্ধাপরাধের দায় কাঁধে নিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, পূর্ব এশিয়ার দেশ মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।রাশিয়ার সঙ্গে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে রয়েছে কৌশলগত বাণিজ্য সম্পর্ক। সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে মঙ্গোলিয়া সোভিয়েতভুক্ত ছিল। তবে সোভিয়েতের পতনের পর থেকে মঙ্গোলিয়া বেইজিং ও মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে। গত সপ্তাহে ক্রেমলিন জানিয়েছে, মঙ্গোলিয়া সফরের সময় পুতিনকে গ্রেপ্তার করা, না করা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পুতিন | মঙ্গোলিয়া