আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় আরব দেশগুলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা

গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় আরব দেশগুলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সেখানে যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে। ফলে গেলো ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র এখন গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি চায় না। তবে দেশটি যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। রোববার (৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরের পর শনিবার (৪ নভেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থান করছেন। সেখানে লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জানা গেছে, এই সফরে আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ব্লিঙ্কেন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, মানুষ হিসেবে আমরা এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারি না। ...এই হত্যাকাণ্ড আর ধ্বংসযজ্ঞকে আমরা কীভাবে ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারি? এটা কোনো আত্মরক্ষা হতে পারে না। সাফাদি সতর্ক করে বলেন, কোনো অজুহাতে এই হামলাকে ন্যায়সঙ্গত করা যাবে না এবং এটি ইসরায়েলে নিরাপত্তা আনবে না, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি গাজায় কোনো শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিমুখী আচরণ থেকে সরে আসতে বলেছেন। তবে ব্লিঙ্কেন যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তার মতে, এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনের বিষয়ে আরব নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত না হলেও তাদের লক্ষ্য একই। ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজায় | যুদ্ধবিরতি | চায় | আরব | দেশগুলো | যুক্তরাষ্ট্রের | বিরোধিতা