Connect with us

ঢালিউড

বিচ্ছেদের কারণ জানালেন রাফসান

Avatar of author

Published

on

রাফসান-সাবাব

বেশ কিছু দিন থেকেই সামাজিক মাধ্যম উত্তাল হয়ে আছে জনপ্রিয় উপস্থাপক রাফসান সাবাবের ঘর ভাঙার বিষয়টি নিয়ে। অনেকের মন্তব্য, কণ্ঠশিল্পী জেফারের সঙ্গে প্রেম করছেন রাফসান। সেকারণেই স্ত্রী সানিয়া এশাকে তালাক দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বর্ণবাদী আচরণেরও শিকার হতে হচ্ছে তাকে। এবার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন রাফসান।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ১৪ মিনিটের এক ভিডিও বার্তা দেন রাফসান। সেখানে বলেন, ‘ডিভোর্সের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে অনলাইনে গত তিন দিন ধরে যতভাবে আমাকে বুলিং, নেগেটিভ কথাবার্তা, যা-তা ভাবে অপমান, যত ধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে আমি সব কিছুর জন্য এত দিন নীরব ছিলাম। কারণ আমি আমার পোস্টে লিখেছিলাম, আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথ চলার শেষটা আমি চাই সম্মানজনকভাবেই হোক।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আসলে একটা ডিভোর্স দুজন মানুষের জন্য খুব কঠিন এবং এটা একটা ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কখনও চাইনি কাদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে, দোষারোপ করার মাধ্যমে সম্পর্কটা শেষ হোক। আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত আলোচনা হোক আমি তা চাইনি।’

এরপর প্রাক্তন স্ত্রী এশার পোস্টে ভুল তথ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পোস্টের পর থেকে সবাই ডিভোর্সের কারণ খুঁজতে থাকেন। গতকাল আমার সাবেক স্ত্রী একটা পোস্ট দেয়, যেখানে অনেক ভুল তথ্য দেওয়া আছে। যার জন্য আমার আজকের এই ভিডিও বার্তা বা স্টেটমেন্ট।

এ তারকা আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী তার স্ট্যাটাসে লিখেছে, এটা মিউচুয়াল ডিভোর্স ছিল না। সে চায়নি এই ডিভোর্সটা হোক। এখানে একটা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার আমিও এই বিয়ে নিয়ে সিরিয়াস ছিলাম। আমার বিয়েটা তিন বছর আগে হয়, আর এটা লাভ ম্যারেজ ছিল। আমি আমার পরিবারকে রাজি করিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করে বিয়েটা করি। সেই জায়গা থেকে যখন আমি ডিভোর্স চাই এবং এই বিয়েটা থেকে বের হতে চাই, এর পেছনে অনেক ধরনের কারণ রয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিয়েটা তিন বছর আগে হলেও আমি আরো দেড় বছর আগে এই ডিভোর্সটা চেয়েছিলাম। হঠাৎ করেই কিন্তু ডিভোর্সটা হয়নি যে ঘুম থেকে উঠলাম আর একটা স্ট্যাটাস দিয়ে দিলাম। এটা আরো দেড় বছর আগে থেকেই আমি চাচ্ছিলাম।’

ভিডিওবার্তায় বিচ্ছেদের কারণ জানান রাফসান। তিনি বলেন, ‘যখন একজন মানুষ আরেকজনকে পছন্দ করে বিয়ে করে, বিয়ে করার পর নানা ধরনের সমস্যা, অমিল, প্রত্যাশা বেড়ে যায়। আমি অনেক বিষয় নিয়ে খুশি ছিলাম না, সেটা আমার কাজ নিয়ে হোক অথবা আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনো ইস্যু হোক। আমি আমার বিয়েতে খুশি ছিলাম না। আমার জন্য এই জায়গাটা কখনো সুখের ছিল না। যার জন্য আমি এই বিয়ে থেকে বের হতে চেয়েছি।’

সবশেষে রাফসান বলেন, ‘কারও কারণে আমার সংসার ভাঙেনি, কারও সঙ্গে যদি আমাকে পাবলিক প্লেসে দেখা যায়, তাকে জড়িয়ে আমাকে নিয়ে নানা কথা বলা হয় এটাও সঠিক নয়। আমার সংসার ভাঙছে- সেই দোষটা শুধু আমার ওপরই দেন। আমি এই যন্ত্রণাময় সম্পর্ক থেকে বের হতে চেয়েছি। তাই ডিভোর্স দিয়েছি।’

এশা পেশায় চিকিৎসক। ২০২০ সালের অক্টোবরে তার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রাফসান-এশা। বেশ আয়োজন করেই হয়েছিল সে বিয়ে।

Advertisement
Advertisement

ঢালিউড

লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

Published

on

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবির পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের এক ঘনিষ্ঠজনের বরাতে জানা যায়, পরশু রাতে (২৩ জুলাই) বাসায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জুয়েলের। দ্রুত অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

চিকিৎসকের বরাতে ওই ঘনিষ্ঠসূত্রটি জানায়, সংগীতশিল্পী জুয়েলকে চিকিৎসকরা ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এই সময় গেলে জুয়েলের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থাকে সংকটাপন্ন বলেই অভিহিত করেন চিকিৎসকরা।

ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায় ঠিক তখনি ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলায় তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে।

১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।

Advertisement

জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নামই হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে জেমসের শোকবার্তা

Published

on

সংগীতাঙ্গন যেন কালো মেঘে ঢেকে গেছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদে। ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টার হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘মাইলস’ খ্যাত এই গায়ক। তার চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা বাকরুদ্ধ। শোক ছুঁয়েছে নগরবাউল জেমসকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন জেমস। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে শাফিন আহমেদের গাওয়া গানের কয়েকটি লাইন তুলে দিয়ে জেমস লিখেছেন, ‘চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি, নও পাহাড়ি ঝর্না/ যদি বলি ফুল তবুও হবে ভুল/ তোমার তুলনা হয় না।’

এরপর নগরবাউল লিখেছেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা বাংলাদেশের মাইলস ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রতি। শোকস্তব্ধ দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। আসুন আমরা সকলে তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শো করতে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। শো’য়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু আর ফেরানো গেল না তাঁকে।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন তানজিন তিশার সহকারী

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আলামিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে আলামিনকে নিয়ে তিশা লেখেন, ‘কিভাবে শুরু করব জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চিনেন। কিন্তু ও কিন্তু আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট না, আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সাথেই থাকে আমার ফ্যামিলিতেই থাকে। আপু কি লাগবে, আপু কি খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো সব কিছু এই ছেলেটাই জানতো আর দেখত।’

তিশা আরও লিখেছেন, ‘আলামিন, সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো আমার পাশে বসে থাকত। আমার কত প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাব, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে, পরীক্ষাটা দিতে। অনেকে অনেক কিছু বলতো কিন্তু দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকতো। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সাথে থাকত, তারপর ওর ফ্যামিলির সাথে। কত বকা দিয়েছি, মন খারাপও করে থাকতো আবার একটু পর ঠিকই বুঝাতাম। একটা না দুই দুইটা গুলি কি করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা?’

সবশেষে তিশা লিখেছেন, ‘আলামিন কোনো দল অথবা কো্নোকিছুর সাথে জড়িত ছিল না। ওর বিগত ৪ বছর জীবনটা আমার সাথে, আমার কাজের এবং আমার পরিবারের সাথেই কেটেছে। ওর জীবনে কোন পাপ নাই, খুব ছোট একটা মানুষ এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’

এসআই/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত