আর্কাইভ থেকে টুকিটাকি

বিনা পারিশ্রমিকে ঘর পরিষ্কার করাই যার পেশা

বিনা পারিশ্রমিকে ঘর পরিষ্কার করাই যার পেশা
ঘর পরিষ্কার করে দেয়ার বদলে দিতে হবে না কোন পারিশ্রমিক, তবু তিনি কোটিপতি। কিন্তু কিভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক সেই গল্প। পেশা যখন নেশায় পরিণত হয়, উন্নতিও তখন নিজে থেকেই পথ চিনে নেয়। তার সঙ্গে যদি ভাগ্য সহায় হয়, তা হলে তো সোনায় সোহাগা। সে যে পেশাই হোক না কেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি এক তরুণীর জীবনসংগ্রামের কাহিনি। নাম তার অরি কানানেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অধিবাসী তিনি। পরিবারের অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা করতে গিয়ে লোকের বাড়িতে কাজ করতে শুরু করেন। প্রথম দিকে লোকের বাড়িতে ঠিকা কাজ করতেন ওই তরুণী। এখন সেই কাজটিই করেন কিন্তু একটু অন্য আঙ্গিকে। পরিবর্তে কোনও পারিশ্রমিক নেন না অরি। আর সেই কাজ করতে গিয়েই তিনি এখন খ্যাতির শিখরে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অরি কানানেন নামের ওই তরুণী বহু দিন ধরেই গৃহ সহায়িকার কাজ করছেন। তবে বছর তিনেক আগে তিনি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন। সেখানে নিজের কাজ সংক্রান্ত নানা রকম ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি। তবে নেটপ্রভাবী হওয়ার পর এখন আর নিজে কাজ করেন না। মানসিক ভাবে দুঃস্থদের নিয়ে একটি সংগঠন চালান অরি। ঘর পরিষ্কারের মতো দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “এই কাজ করতে আমার ভাল লাগে। ঘর পরিষ্কার করলে আমার ক্লান্তি কাটে। নিজের হাতে ঘর পরিষ্কার করতে না পারলে কেমন যেন অসম্পূর্ণ লাগে। পুরু ধুলোর স্তর সরিয়ে জিনিসপত্র ঝকঝকে করে তুলতে যে কী ভাল লাগে, তা বলে বোঝাতে পারব না।” বয়ঃসন্ধিতে অরি নিজেও অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। অরি বলেন, “ওই পরিস্থিতিতে মনের কী অবস্থা হয়, আমি জানি।” ঘর পরিষ্কার করার এই কাজই অরিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। শুধু নিজের দেশেই নয়, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, সুইৎজ়ারল্যান্ড পর্যন্ত তার কাজ ছড়িয়ে পড়েছে। এই কাজের জন্য অরি যে কোনও দেশে চলে যেতে পারেন। শর্ত একটিই। তাকে এবং তার দলকে সেই কাজের ভিডিও করতে দিতে হবে। ঘর পরিষ্কার করার বদলে কোনও পারিশ্রমিক দিতে হবে না অরি ও তার দলকে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিনা | পারিশ্রমিকে | ঘর | পরিষ্কার | করাই | যার | পেশা